পাকিস্তানে টোমাটো পাঠাবে না দেশের কৃষকরা


ভোপাল: ভারতের মাটিতে ফলানো ফসল খায় পাকিস্তান৷ আর তারাই কিনা ভারতের সেনাদের খুন করে৷ পুলওয়ামার ঘটনার পর প্রতিবেশী দেশকে ফসল পাঠাতে অনিচ্ছুক চাষীরা৷ ব্যবসায়ে প্রভাব পড়বে জেনেও দেশের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যপ্রদেশের টোমাটো চাষীরা৷

মধ্যপ্রদেশের ঝাবুয়া জেলা টোমাটো চাষের জন্য পরিচিত৷ সেই জেলার পাঁচ হাজার চাষী সিদ্ধান্ত নিয়ে আর তারা পাকিস্তানে টোমাটো রফতানি করবে না৷ পুলওয়ামার ঘটনার প্রতিবাদে এই সিদ্ধান্ত৷ সংবাদসংস্থা এএনআইকে রবীন্দ্র পাতিদার নামে এক চাষী জানিয়েছেন, ''আমরা টোমাটো চাষ করি৷ পাকিস্তানেও টোমাটো রফতানি করি৷ তারা আমাদের পাঠানো সবজি খায় আর আমাদের দেশের সেনাদের খুন করে৷ পাকিস্তান ধ্বংস হোক সেটাই এখন চাই৷''

রবীন্দ্রর মতো একই সুর শোনা গেল অন্য চাষীদের গলাতেও৷ বাসন্তী লাল পাতিদার নামে আরও এক টোমাটো চাষী জানিয়েছেন, ''ফসল রফতানির দাম নিয়ে আমরা চিন্তিত নই৷ কিন্তু সেনা যদি না থাকে তাহলে আমরা কেউ বাঁচব না৷ রফতানি বাবদ যে টাকা আসে সেটাও জলে চলে যাবে৷''

টোমাটো ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক কৌশিক জানিয়েছেন, ভারত থেকে ৭৫-১০০ ট্রাক ভরতি টোমাটো যায় পাকিস্তানে৷ টোমাটো রফতানি করে মোটা টাকা ঘরে আসে ভারতের৷ অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, দেশে এক কিলো টোমাটোর দাম ৩০-৫০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করে৷ কিন্তু টোমাটোর দাম পাকিস্তানে আকাশছোঁয়া৷

লাহোরে এককিলো টোমাটোর দাম একশো টাকার উপর৷ ২৫কেজি টোমাটো থেকে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা পাওয়া যায়৷ কিন্তু ব্যবসার পরোয়া না করে পাকিস্তানকে বয়কট করাই তাদের প্রধান উদ্দেশ্য৷ চাষীদের দেশপ্রেমকে কুর্নিশ জানিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ৷ বলেছেন, ''ঝাবুয়ার চাষীদের স্যালুট জানাচ্ছি৷''

অপরদিকে ইন্দোরের খেঁজুর চাষীরাও পাকিস্তানকে আর খেঁজুর পাঠাতে চায় না বলেছে জানিয়েছে৷ এতে তাদের ব্যবসার ক্ষতি হলেও কুছ পরোয়া নেহি৷