শহিদ স্বামীর হয়ে মমতার হাত থেকে পুরস্কার নিলেন বিউটি মালিক


২০১৭ সালে বিমল গুরুংকে ধরার জন্য তাড়া করেছিলেন দার্জিলিং সদর থানার সাব-ইন্সপেক্টর অমিতাভ মালিক। বিমল গুরুং সমর্থকদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় অমিতাভ মালিকের। স্বামীর মৃতদেহ আঁকড়ে ধরে স্ত্রী বিউটি মালিকের কান্না চোখে জল এনেছিল গোটা বাংলার। এবার সেই বিউটি মালিক স্বামীর সাহসিকতার জন্য মরণোত্তর পুরস্কার নিলেন মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে। সোমবার মেট্রো চ্যানেলে ধরনা মঞ্চ থেকেই পুলিশ সম্মান তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তাঁর হাত থেকে পুরস্কার তুলে নেন বিউটি।

দার্জিলিংয়ের এই পুলিশি অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন পুলিশ সুপার অখিলেশ চতুর্বেদী। এ ছাড়াও এই অপারেশনে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন দুই পুলিশ অফিসার সৌম্যজিৎ রায় ও অভিজিৎ বিশ্বাস। এদিন এই বিশেষ পুরস্কার পেলেন তাঁরাও। দার্জিলিংয়ে একই অভিযানে অন্য দু'টি টিমের দায়িত্বে ছিলেন দুই পুলিশকর্তা নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী ও অমরনাথ কে। তাঁদের দু'জনকেই শৌর্য পদক প্রদান করা হয়।

২০১৭ সালের গোড়ার দিকে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দার্জিলিং। সেই সময়ই গুরুং বাহিনীর গুলিতে শহিদ হয়েছিলেন মধ্যমগ্রামের অমিতাভ মালিক। কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন স্ত্রী বিউটি। তাঁর প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছিল গোটা রাজ্য। সে সময় মধ্যমগ্রামের মালিক পরিবারের পাশে দাঁড়ায় প্রশাসন। সরকারের তরফে জানায়, অমিতাভর স্ত্রীকে চাকরি দেওয়া হবে। প্রতিশ্রুতি মতোই পুলিশের চাকরি পান তিনি। তবে ততদিনে শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক চুকিয়ে দিয়েছিলেন বিউটি। ফলে বউমার তরফে কোনও সাহায্যের আশাও ত্যাগ করে মালিক পরিবার। এরপর বিউটির একাধিক আচরণ সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে উঠে আসে। রীতিমতো বিরক্তিকর আচরণ শুরু করেন শহিদ-পত্নী। বিউটির শ্বশুরবাড়ির দাবি, অমিতাভর মৃত্যুর পর স্বার্থপরতার পরিচয় দিয়েছেন বিউটি। সম্প্রতি অমিতাভর একটি বিমার টাকা দাবি করে শ্বশুর বাড়ির লোকেদের আদালতে টেনে আনেন শহিদ-পত্নী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর এই আচরণের নিন্দাও হয়। সেই বিউটিই এবার পুরস্কার পেলেন মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে।