মোদী জমানায় সরকারি পর্যায়ে বেড়েছে চাকরির সুযোগ! দাবি অন্তবর্তী বাজেটে


দেশে বেকারি। সরকার পর্যাপ্ত কাজের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এরই মধ্য ২০১৯-২০ সালের অন্তবর্তী কেন্দ্রীয় বাজেটে দাবি করা হয়েছে ২০১৭-১৯ সালের মধ্যে ৩৭৯,০০০ চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছে শুধু মাত্র কেন্দ্রীয় সরকারি পর্যায়েই।

সরকার জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন শাখায় ২০১৭-২০১৮-তে ২৫১,২৭৯ চাকরি হয়েছে। যা ২০১৯-এর মার্চে ৩৭৯,৫৪৪ বেড়ে ৩৬,১৫, ৭৭০-তে পৌঁছে যেতে পারে।  ১ ফেব্রুয়ারি পীযূষ গোয়েল অন্তবর্তী বাজেট পেশ করেছেন, তাতেই এই তথ্য তুলে ধরাল হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সংসদে প্রভিডেন্ট ফান্ড, ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম, ইনকাম ট্যাক্স ফাইলিং, গাড়ি বিক্রির তথ্য তুলে ধরে দাবি করেন দেশে লক্ষ লক্ষ চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছে প্রচলিত এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রে। যার মধ্যে রয়েছে পরিবহন, হোটেল এবং পরিকাঠামো ক্ষেত্র।

কেন্দ্রের বেশিরভাগ নিয়োগই হয়েছে রেলমন্ত্রক, কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনী এবং প্রত্যক্ষ এবং অপ্রত্যক্ষ কর বিভাগে। বাজেটের নথিতে যে যে ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা আলাদা আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। এতেই বলা হয়েছে, ২০১৯-এর ১ মার্চ সব থেকে বেশি চাকরির সুযোগ তৈরি করবে ভারতীয় রেল। সংখ্যায় ৯৮,৯৯৯টি। ২০১৭-তে রেলের কর্মী সংখ্যা ছিল ১২,৭০,৭১৪।

কেন্দ্রীয় পুলিশ বিভাগে ২০১৯-এর ১ মার্চ নাগাদ ৭৯,৩৫৩ টি অতিরিক্ত চাকরির সুযোগ তৈরি হবে। যা ২০১৭-এর মার্চে ছিল ১০,৫২,৩৫১ টি। একইভাবে অপ্রত্যক্ষ কর বিভাগে ২০১৭-এর মার্চে কর্মী সংখ্যা ছিল ৫৩,৩৯৪। ২০১৮-র মার্চে যা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৯২,৮৪২। ২০১৯-এর মার্চেও যা একই থাকবে  বলে জানানো হয়েছে। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকে ২০১৭-র মার্চে কর্মী সংখ্যা ছিল ১,১৭৪ জন। ২০১৯-এর মার্চে আরও ২,৩৬৩ জন বৃদ্ধি পাবে বলে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে ডাক বিভাগে ২০১৭-র মার্চে যেখানে কর্মী সংখ্যা ছিল ৪১,৮৮,১৮ জন, সেখানে ২০১৯-এর মার্চে তা বেড়ে হবে ৪,২১,০৬৮ জন। বিদেশ মন্ত্রকে ২০১৭-র মার্চে যেখানে কর্মী সংখ্যা ছিল ১০,০৪৪ জন, সেখানে ২০১৯-এর মার্চে তা বেড়ে হবে ১১,৮৭৭ জন।