গত ডিসেম্বরেই কাশ্মীরে ঢোকে জইশের ‘ফিদায়েঁ স্কোয়াড’


পুলওয়ামার অপরাধী কে বা করা? এনিয়ে চলছে চুলচেরা তদন্ত। পরতে পরতে রহস্যের জট খুলতেই বেরিয়ে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। বিশ্লেষণ চলছে 'ইন্টেলিজেন্স ফেলিওর' থেকে শুরু করে 'সর্ষের মধ্যেই ভূত' থিওরি নিয়ে। তবে কোথাও যে খামতি ছিল, তা স্পষ্ট। সূত্রের খবর, বহুদিন আগেই কষে ফেলা হয়েছিল পুলওয়ামা হামলার ছক। গত ডিসেম্বরেই কাশ্মীরে প্রবেশ করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশের 'ফিদায়েঁ স্কোয়াড'।

গোয়েন্দা সূত্রে খবর, কাশ্মীর-সহ দেশে একাধিক আত্মঘাতী হামলা চালাতে গত ডিসেম্বরেই কাশ্মীরে প্রবেশ করে জইশের 'ফিদায়েঁ স্কোয়াড'। ২১ সদস্যের ওই দলে ছিল তিন আত্মঘাতী জঙ্গি। আইএসআই-এর মদতে পাকিস্তানের মাটিতে তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ওই দলের নেতৃত্বে ছিল সদ্য নিকেশ হওয়া জঙ্গি কামরান ওরফে আবদুল রশিদ গাজি ও জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের ভাইপো মহম্মদ ওমর। জঙ্গি আফজল গুরু ও আজহারের আরেক ভাইপো উসমান হায়দরের মৃত্যুর বদলা নেওয়ার নির্দেশ ছিল তাদের উপর। পুলওয়ামার আত্মঘাতী জঙ্গি আদিল দার ওই দলেরই সদস্য ছিল। ১৪ ফেব্রুয়ারির হামলার জন্য তাকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল। বাকি দুই ফিদায়েঁ জঙ্গির উপর দেশের অন্য জায়গায় হামলা চালানোর নির্দেশ ছিল। সব মিলিয়ে এখনও কাশ্মীরে দুই আত্মঘাতী জঙ্গি লুকিয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

উল্লেখ্য, সোমবার সাত সকালে সেনা অভিযানে নিহত কামরান ওরফে আবদুল রশিদ গাজি মধ্য তিরিশের এক জেহাদি যুবক। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের ছত্রছায়ায় থাকা জইশ-ই-মহম্মদের সুপ্রিমো মাসুদ আজহারের প্রিয়পাত্র হল এই গাজি। মাসুদের নির্দেশে গাজি কাশ্মীরে এসেছিল নির্দিষ্ট অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে। তার উপর নির্দেশ ছিল, 'ইসবার কাম বড়া হোনা চাহিয়ে। ইতনা বড়া কি হিন্দুস্তান কো রোনা হোগা।' (এবার কাজ মানে হামলা বিশাল বড় হতে হবে। এতটাই বড় যে গোটা হিন্দুস্তান যেন কাঁদে)। আল্লার কসম খেয়ে শাহাদাত বা 'শহিদ' হতেই কাশ্মীরে এসেছিল গাজি।