আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার তদন্তে আজ পুলওয়ামায় এনএসজি, এনআইএ


নয়াদিল্লি: বর্বরোচিত জঙ্গি হামলা৷ ভালোবাসার দিনে রক্তাক্ত ভূস্বর্গের মাটি৷ আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় শহিদ আধা সামরিক বাহিনীর ৪২টি প্রাণ৷ জমে মানুষে টানাটানি আরও ৪০জনের৷ এই পরিস্তিতিতে হামলার তদন্তে শুক্রবারই জম্মু-কাশ্মীরে যাচ্ছে এনএসজি ও এনআইএ৷

এনআইয়ের সঙ্গে থাকবে বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ ব্ল্যাক ক্যাট কম্যান্ডো বাহিনী৷ থাকবে ফরেন্সিক দল-ও৷ ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত করবে তারা৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে৷

২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে উরির সেনাঘাঁটিতে জঙ্গি হামলা হয়৷ সেবছরের শুরুতেই ঘটে যায় পাঠানকোটের মত ঘটনা৷ উরি হামলার তদন্তভার দেওয়া হয় এনআইয়ের উপর৷ সেনাঘাঁটির ভিতর থেকেই তথ্য-সাহায্য পেয়েছে জঙ্গিরা। যার ফলে তারা অনায়াসে ঘাঁটিতে ঢুকে রীতিমতো সুবিধেজনক অবস্থান নিয়ে হামলা চালায়। সেই অন্তর্ঘাতের সূত্র খুঁজে বের করতেই তদন্তে তৎপর হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি৷

উরি সেনাঘাঁটির মূল প্রবেশপথটি নিয়ন্ত্রণরেখার দিকে। স্বভাবতই সে দিকে পাহারা বেশি। জঙ্গিরা তাই বেছে নেয় পিছনের দিকের রাস্তা। ঘাঁটির পিছনের কোন অংশ দিয়ে জঙ্গিরা ঢুকেছিল তার খোঁজ চালানই ছিল তদন্তের অন্যতম লক্ষ্য। ওই অংশ দিয়ে ঢুকলে কোনও সমস্যায় পড়তে হবে না এই তথ্যই-বা জঙ্গিদের কারা জানিয়েছিল? তাও ছিল রহস্য৷

গোয়েন্দাদের সন্দেহের তালিকায় আইএসআইয়ের স্লিপার সেল৷ বারামুলা-উরি এলাকায় আইএসআইয়ের বেশ কয়েকটি স্লিপার সেল আছে। যাদের কথা স্থানীয় পুলিশের অজানা। গোয়েন্দাদের অনুমান, সেনাঘাঁটি থাকায় ওই স্লিপার সেল তৈরি করা হয়েছিল। জঙ্গিদের রাতের আশ্রয় ও রাস্তা চিনিয়ে দেওয়ার দায়িত্বে ছিল ওই স্লিপার সেলের সদস্যরা৷

ঘটনাস্থ সেই উপত্যাতা৷ আত্মঘাতী জঙ্গি মৃত্যুর আগে স্বীকারও করেছে সে জৈশ-এর সদস্য৷ প্রকাশিত ভিডিও টেপ থেকে তা স্পষ্ট৷ হামলার পরিকল্পনা পাকিস্তানের মাটি থেকে হলেও জঙ্গির হাতে কলমে শিক্ষা কাশ্মীরেই৷ কিন্তু তা জানতে পারেনি নিরাপত্তারক্ষারা৷ কিভাবে হল হামলা? জৈশের আর কোনও স্লিপার সেল কি ওই এলাকায় রয়েছে? এইসহ খতিয়ে দেখতেই আজ এনআইএ ও এনএসজি দল যাচ্ছে পুলওয়ামায়৷