নেপালি তরুণীকে গাড়িতে তুলে গণধর্ষণের পর খুনের পরিকল্পনা, কঠোর সাজা ৪ অভিযুক্তের


নেপালি তরুণীকে গণধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত চার জনকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করল আদালত। পেশার বার ড্যান্সার নেপালি তরুণীকে পার্কস্ট্রিট থেকে সেক্টর ফাইভে এসেছিলেন। তাঁকে সিনেমা হল চিনিয়ে দেওয়ার নাম করে গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে একে একে ধর্ষণ করে। ঘটনার তিন বছরের মধ্যেই অভিযুক্ত চারজনের সাজা ঘোষণা হল এদিন।

২০১৬ সালের ২৯ মে। সল্টলেক সেক্টর ফাইভে সিনেমা হলের ঠিকানা জানার জন্য দাঁড়িয়ে তাকা এক যুবককে জিজ্ঞাসা করেছিলেন ওই তরুণী। তারপর গাড়িতে করে আসা চারজন যুবক তাঁকে অপহরণ করে। ধর্ষণের পর তাঁকে খুনের পরিকল্পনাও করা হয়। অভিযুক্তদের পরিকল্পনা বুঝতে পেরে গাড়ি থেকে ঝাঁপ দিয়ে কোনওরকমে পালিয়ে যান তিনি।

ঝাঁপ দেওয়ার সময় নিজের মোবাইলের বদলে চার যুবকের একজনের মোবাইল হাতে নিয়ে লাফ দেন তরুণী। এরপর সেই মোবাইলের সূত্র ধরেই ধরা পড়ে একে একে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ধর্ষণের পর খুন করে তরুণীকে গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল তারা।

এদিন ভারতীয় দণ্ডবিধির তিনটি ধারায় দোষীসাব্যস্ত করা হয়। ৩৭৬ডি অর্থাৎ গণধর্ষণের মামলায় ২০ বছরের জেল, ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। ৩৬৬ অর্থাৎ অপহরণের মামলায় ১০ বছরের জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমান, অনাদায়ে ছ-মাসের জেল এবং ৩৭৬ ধর্ষণের মামলায় ১০ বছরের জেল, পাঁচ হাজার টাকা জরিমান, অনাজয়ে ৬ মাসের জেলের নির্দেশ দেন বিচারক। এই ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত হল শুভেন্দু নাগ, সৌরভ দে, সুব্রত দত্ত ও অর্ণব বেরা। সাজাপ্রাপ্ত চারজনই একসঙ্গে এই কারাদণ্ড ভোগ করবে। অর্থাৎ তাদের ২০ বছর জেল খাটতে হবে, জরিমানা দিতে হবে ৪০ হাজার টাকা।