সিবিআই বনাম কলকাতা পুলিশ: নজর সুপ্রিম কোর্টে, শুনানি একটু পরেই


কলকাতার পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে সিবিআই আধিকারিকদের যাওয়া নিয়ে আজ শুনানি সুপ্রিম কোর্টে।  গতকালই বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সিবিআই। শীর্ষ আদালতে সিবিআইয়ের হয়ে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা দাবি করেছিলেন, সিবিআই বনাম পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দ্বৈরথে সংবিধান ভেঙে পড়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। রাজীবকে 'সম্ভাব্য অভিযুক্ত' আখ্যা দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগও তোলে সিবিআই।

এর পরই প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেছিলেন, ''আপনাদের আবেদন পড়েছি। এতে (নথি লোপাটের প্রমাণ) কিছুই নেই।'' একই সঙ্গে তিনি মন্তব্য করেছিলেন,  '' যদি প্রমাণ করতে পারেন, উনি প্রমাণ লোপাট করেছেন বা এক বারও সে কথা ভেবেছেন, তা হলে এমন শিক্ষা দেব যে ওঁকে অনুতাপ করতে হবে।''

সিবিআইয়ের সামনে এখন চ্যালেঞ্জ, আজ রাজীবের বিরুদ্ধে নথি লোপাটের প্রমাণ দাখিল করা। গতকাল রাতেই তারা একটি হলফনামা জমা দিয়েছে।  আজ সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান বিচারপতি গগৈ, বিচারপতি দীপক গুপ্ত ও বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে। তখন মুখবন্ধ খামে আরও নথি পেশ করা হবে বলে সূত্রের খবর। কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত কোন দিকে গড়াবে, তার অনেকটাই সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে। রাজীবের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি  গতকাল বলেন, সব অভিযোগ মিথ্যা। সাক্ষী হিসেবে রাজীবের কাছে সিবিআইয়ের যা প্রশ্ন ছিল, তার লিখিত জবাব দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারি সিট-এর প্রধান হিসেবে সারদার নথিও তিনি সিবিআইকে দিয়েছেন।

একই সঙ্গে গতকাল সিবিআই-এর আর্জি ছিল, সুপ্রিম কোর্ট রাজীব কুমারকে আত্মসমর্পণ করতে বা সিবিআইয়ের সামনে হাজির হতে নির্দেশ দিক। অন্য দিকে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যে তদন্ত হচ্ছে, তাতে রাজ্য প্রশাসন বাধা দিচ্ছে বলে আদালত অবমাননার মামলা হোক।
দুই পক্ষের কথা শোনার পর বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করে মঙ্গলবার শুনানির সিদ্ধান্ত নেন প্রধান বিচারপতি।