শাড়ি পরে মহিলা বাথরুমে, শ্লীলতাহানি করতে গিয়ে দমদমে ধৃত পুরুষ


মহিলা পুলিশ চেপে ধরতেই পর্দা ফাঁস। শাড়ি-ব্লাউজের খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এল কাটখোট্টা এক জোয়ান। যে কিনা রেলের মহিলা শৌচালয়ে কর্মী সেজে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছিল। এবং সেই মওকায় বহু মহিলা যাত্রীর অজান্তেই নজর হাঁকাচ্ছিল তাঁদের একান্ত গোপনীয়তায়। কিন্তু বারবার তো ঘুঘু ধান খেয়ে পার পেতে পারে না! শেষমেশ বুধবার দমদম স্টেশনের সেই নারীবেশী দুষ্কৃতীর সব  জারিজুরি ফাঁস হয়ে গেল। এক কলেজ ছাত্রী ও তাঁর মায়ের অভিযোগে পরই পুলিশের জালে ধরা পড়ল রাজু দেবনাথ নামে যুবক। শ্লীলতাহানির অভিযোগে রেল পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।

বুধবার বিকেলে দমদম স্টেশনে এক কলেজ ছাত্রীর বিশেষ সমস্যা দেখা দেওয়ায় তাঁর মা তাঁকে নিয়ে ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে বাথরুমে ঢোকেন। হঠাৎই তাঁদের নজর যায় শৌচালয়ের বাইরের দিকে। দেখতে পান, দরজার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিচ্ছেন ওই 'মহিলা কর্মী'। এর পর মা ও মেয়ে বেরিয়ে এসে ওই মহিলাকে চেপে ধরেন। কেন এই আচরণ, জানতে চান তাঁরা। 'মহিলা কর্মী' জবাব দেয়, বাথরুমে তাঁরা দেরি করছিলেন বলে সে দেখতে গেছে। তার কথাবার্তা, আচরণ দেখেও ছাত্রী ও তাঁর মা বুঝতেই পারেননি, ওই কর্মীর আসল পরিচয়। কিন্তু আচরণে অসঙ্গতি থাকায় তাঁরাই টেনে থানায় নিয়ে যান কর্মীকে। এক কনস্টেবল অভিযুক্তকে ভিতরে ঢোকানোর চেষ্টা করার সময়ই খুলে যায় শাড়ি। ব্লাউজের ভিতর থেকে বেরিয়ে পড়ে কাপড়ের কুচির টুকরো। তখনই স্পষ্ট হয়ে যায়, সে একজন আদ্যোপান্ত পুরুষ।

ধৃত রাজু দেবনাথ বর্ধমানের কালনা শ্যামগঞ্জ পাড়ার বাসিন্দা। রেল পুলিশের কাছে অপরাধ কবুল করে বলেছে, দীর্ঘদিন বেকার ছিল। এর পরে একজনের কথায় মহিলা সেজে রেলের বাথরুমে কাজ নেয়। রীতিমতো শাড়ি-ব্লাউজ, সিঁদুরের টিপ নিয়ে একেবারে মহিলা সেজে বসে। দমদমে 'কালীদি' নামেও পরিচয় নিয়ে নেয়। তারা শৌচালয়ের দায়িত্বে থাকা রেলের ঠিকা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করছে। ধৃতের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও লিঙ্গ গোপন করার মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। ঠিকা সংস্থার মালিককে খুঁজছে রেল পুলিশ। যদি ওই কর্মীকে ঠিকা সংস্থা নিয়োগ করে থাকে, তবে তাদের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেবে রেল।