পাকিস্তানে ফের হিন্দু মন্দিরে হামলা, পুড়িয়ে দেওয়া হল গীতা


কয়েকদিন আগেই ভারতে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। দিল্লিকে নৈতিক পাঠ দিলেও তাঁর নিজের দেশেই আক্রান্ত সংখ্যালঘু হিন্দুরা। এবার পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে হিন্দুদের একটি মন্দিরের উপর হামলা চালাল দুষ্কৃতীরা। মন্দিরের বিগ্রহ এবং  ধর্মগ্রন্থ গীতা-সহ বেশ কিছু ধর্মীয় পুস্তক আগুনে পুড়িয়ে দেয়।

ঘটনাটি জানার পর অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের খুঁজে বের করে পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তবে মৌলবাদীদের পৃষ্ঠপোষক ইমরান সরকারের এই পদক্ষেপ লোক দেখানো বলেই মনে করছেন সে দেশের সংখ্যালঘুরা। গত সপ্তাহে সিন্ধ প্রদেশের খাইরপুর জেলার কুম্ব এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। মন্দিরটি ভাঙচুর করার পর এলাকা থেকে পালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি জানার পর ইমরান টুইট করেন, 'কুম্বে যে ঘটনা ঘটেছে, তা কোরান বিরুদ্ধ। তাই সিন্ধ প্রশাসনকে অবিলম্বে ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে হবে। দুষ্কৃতীরা যাতে রেহাই না পায়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে প্রাদেশিক প্রশাসনকে।' মন্দির ভাঙচুরের ঘটনায় এলাকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে স্থানীয় থানায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি হিন্দু সম্প্রদায়ের তরফে একটি প্রতিবাদ মিছিল করা হয়।

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দাবি, অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। পাকিস্তান হিন্দু পরিষদের উপদেষ্টা রাজেশকুমার হর্দাসানি বুধবার সেদেশের হিন্দু মন্দিরগুলির নিরাপত্তার জন্য একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠনের দাবি জানিয়েছেন। রাজেশকুমার বলেছেন, "দেশের সাম্প্রদায়িক ঐক্য নষ্ট করতেই এই হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশাসনের উপর বিশ্বাস হারাবে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়।"  উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই পাকিস্তানে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের দুরবস্থা নিয়ে আমেরিকাকে বার্তা দিয়েছে পাক সংখ্যালঘুদের একটি প্রতিনিধি দল। ভার্জিনিয়া থেকে নির্বাচিত প্রভাবশালী মার্কিন আইনসভার সদস্য রব উইটম্যানের সঙ্গে সম্প্রতি দেখা করেছেন আমেরিকা সফররত পাক সংখ্যালঘুদের একটি প্রতিনিধি দল। ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন মোহাজির, পাশতুন, বালুচ, হাজারা ও আহমদিয়া সম্প্রদায়ের নেতারাও।