একাধিক সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগ করবে কলকাতা পুলিশ


ভোটের আগে ফের জনমোহিনী মোদি সরকার। ৩ বছর পর এবার শেষ বছরে এসে ইপিএফে সুদের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল সরকার। এতদিন ৮.৫৫ শতাংশ হারে সুদ পেতেন চাকুরিজীবীরা। এবার তা ০.১০ শতাংশ বাড়ানো হল অর্থাৎ, ইপিএফের নতুন সুদ হল ৮.৬৫ শতাংশ। ভারতের মোট ৬ কোটি ইপিএফ সদস্য এই সুবিধা পাবেন। দ্য সেন্ট্রাল বোর্ড অব ট্রাস্টিজের (CBT) বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার।

চাকুরিজীবীদের সঞ্চয়ে সুদের হার নির্ধারণ করার দায়িত্ব এই সিবিটির উপর থাকে। সিবিটির শীর্ষে আবার থাকে শ্রমমন্ত্রক। এই সিবিটিই ঠিক করে কোন অর্থবর্ষে পিএফে কত শতাংশ সুদ পাবেন চাকুরিজীবীরা। তাদের প্রস্তাব অর্থমন্ত্রকে যায় অনুমোদনের জন্য। অর্থমন্ত্রক অনুমোদন দিলেই চালু হয়ে যায় নতুন সুদের হার। এদিন সিবিটি সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ছিল। বৈঠক শেষে শ্রমমন্ত্রী জানান, "প্রভিডেন্ট ফান্ডে সঞ্চিত অর্থে সুদের হার ৮.৬৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইপিএফও কর্তৃপক্ষ।" চাকুরিজীবীদের পেনশনের ন্যূনতম সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

গত বছর ইপিএফও-তে সুদের হার ছিল পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে সুদ দেওয়া হত ৮.৫৫ শতাংশ হারে। ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে সুদ দেওয়া হত এবারের হারে, অর্থাৎ ৮.৬৫ শতাংশ হারে। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে এই সুদের হার ছিল ৮.৮০ শতাংশ। গতবছর সর্বনিম্ন সুদ পাওয়ার পর এবছর কিছুটা সুদ বাড়ায় স্বস্তিতে দেশের ৬ কোটি চাকুরিজীবী। ভোটের আগে আগে এই সিদ্ধান্তে অবশ্য রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছে বিরোধীরা।