মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল রাজীব-মামলার শুনানি


সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল রাজীব কুমার মামলার শুনানি।  বিচারপতি নাগেশ্বর রাও এই মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি মুলতুবি হয়ে যায় ।

 বিচারপতি নাগেশ্বর রাওয়ের যুক্তি, এর আগে একটি মামলায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইনজীবী হিসাবে কাজ করেছিলেন তিনি।  এরফলে  রাজীব কুমার মামলায় শীর্ষ আদালতে  গঠিত  প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি রঞ্জিত খান্না  ও বিচারপতি নাগেশ্বর রাও-এর  বেঞ্চ ভেঙে যায়। নতুন করে বিচারপতিদের বেঞ্চ গঠন  হওয়ার পরই মামলার শুনানি হবে। জানা গিয়েছে, রাজীব কুমার মামলার পরবর্তী শুনানি ২৭  ফেব্রুয়ারি।

এদিকে, মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতে অতিরিক্ত নথি জমা দেওয়ার চেষ্টা করে সিবিআই।  তাতে বাধা দেন রাজ্যের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি।  তিনি সওয়াল করেন, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে অতিরিক্ত হলফনামা দেয়। তার আগে আদালত অবমাননার মামলায় রাজ্যের তিন আধিকারিক শীর্ষ আদালতে তাঁদের জবাব ফাইল করার পরও হলফনামা জমা দিয়েছিল সিবিআই। এদিন তার বিরুদ্ধেই সওয়াল করেন অভিষেক মনু সিংভি। যদিও শীর্ষ আদালতের তরফে এদিন কোনও কথাই শোনা হয়নি। মামলার  পরবর্তী শুনানি ২৭ ফেব্রুয়ারিতে বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হবে।

 প্রসঙ্গত, প্রাক্তন পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই অভিযান ঘিরে এমাসের গোড়ার দিকে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত চরমে ওঠে। চিটফান্ড তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে যায় সিবিআই। আদালত অবমাননার অভিযোগে  মামলা করা হয়। মামলার শরিক হয় কেন্দ্রও।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি সেই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, রাজীব কুমারকে সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দিতে হবে। তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করতে হবে। তবে এখনই কলকাতার পুলিস কমিশনারকে গ্রেফতার করা যাবে না। এরপরই শিলংয়ে সিবিআইয়ের সামনে হাজিরা দেন রাজীব কুমার। দফায় দফায় দু'পক্ষে কথা হয়।

শীর্ষ আদালতের কাছে রাজীব কুমারকে জেরা প্রসঙ্গে সিবিআই কী বলে? সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে পরবর্তী কোন পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে অনুমতি চায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা? মামলার পরবর্তী শুনানির দিকেই তাকিয়ে সব মহল।