জঙ্গি সংগঠনদের সাহায্য করা বন্ধ হোক, পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় নির্দেশ আমেরিকার


আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় শহিদ হয়েছেন ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান। রাজনীতি থেকে বলিউড, ক্রিকেট থেকে ফুটবল সকলেই এই হামলার তীব্র নিন্দায় সামিল হয়েছে। চুপ করে বসে থাকেনি হোয়াইট হাউসও। পুলওয়ামায় শহিদ জওয়ানদের পরিবারের প্রতি শোক জানিয়ে আমেরিকা জানিয়েছে, অবিলম্বে জঙ্গি সংগঠনগুলিকে সাহায্য করা বন্ধ করে তাদের উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়া হোক। ট্রাম্প সরকারের ভাষায়, পাকিস্তানের মাটি জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল। যদিও তা কোনওদিনই মানতে চায়নি তারা। 

জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় বৃহস্পতিবারের জঙ্গি হানার তীব্র নিন্দা করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ। গতকালের এই হামলায় শহিদ হন ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ–ই–মহম্মদ এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে একটি বিবৃতি দিয়ে হোয়াইট হাউজের মিডিয়া সচিব সারাহ স্যান্ডার্স বলেন, '‌অবিলম্বে জঙ্গিদের সহায়তা করা বন্ধ করে তাদের বিরুদ্ধে চরম পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পাকিস্তানকে নির্দেশ দিল আমেরিকা। পাকিস্তানে জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়া বন্ধ হোক। যে সব জঙ্গিদের আসল উদ্দেশ্য হিংসা ও বিদ্বেষ তৈরি করা, তাদের এই মুহূর্তে কঠোর শাস্তি দেওয়া উচিত।'‌ তিনি আরও বলেন, '‌এই হামলা কেবলমাত্র মানবতা বিদ্বেষীদেরই হাত শক্ত করবে। যা কোনওভাবে মেনে নেওয়া যায় না। তবে জঙ্গি কার্যকলাপ বন্ধ করতে ভারত–আমেরিকা হাত মেলাবে।'‌

গত দু'‌দশকের মধ্যে সেনাবাহিনীর ওপর সবথেকে ভয়াবহ আক্রমণের ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার। জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় সিআরপিএফের বাসে ভয়াবহ জঙ্গি হানার ফলে শহিদ হলেন প্রায় ৪০ জনের কাছাকাছি সেনা। আহতের পরিমাণও প্রায় সমান। শ্রীনগরের সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁদের। অবন্তীপুরায় এই হামলার দায় স্বীকার করেছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ–ই–মহম্মদ। এই হামলার তীব্র নিন্দা করেন প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতারাই। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেন, '‌অত্যন্ত কাপুরুষের মতো কাজ এটা। এতজন সেনার শহিদ হয়ে যাওয়া মেনে যাওয়া না। আমি তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করি। তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই। আহতদেরও দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।'‌ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলি টুইট করে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, '‌যারা এই অপরাধ ঘটাল, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। এমন শাস্তি, যা ওরা কখনও ভুলতে পারবে না।'‌ এর আগে ২০১৬ সালে সেপ্টেম্বর মাসে উরির সেনা ছাউনিতে আক্রমণ করা হয়েছিল। সেই সময় শহিদ হন ১৯ জন সেনা। বৃহস্পতিবারের হামলায় এখনও পর্যন্ত সেনাদের মৃত্যুর সংখ্যা সেই হামলাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে।