হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েও বাস থামালেন না, যাত্রীদের বাঁচিয়ে প্রয়াত হলেন চালক


নিজে যদি বাঁচতে নাও পারি, যাঁদের দায়িত্ব নিয়েছি তাঁদের অবশ্যই শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করব। এমনই ধনুক ভাঙা পণ করে ৫০ জন যাত্রীকে বাঁচালেন এক বাসচালক। আর তারপর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। এটা কোনও সিনেমার পটভূমি নয়। একেবারে বাস্তব ঘটনা। ঘটেছে তেলঙ্গানা রাজ্যে। নিজের প্রাণ বিসর্জন দিয়ে এভাবেই মানবিকতার নিদর্শন রেখে গেলেন তিনি।

বাসচালক বলে কি তার মানবিকতা থাকতে নেই?‌ তাই তো কীর্তিটা রেখে গেলেন এভাবেই। ঠিক কী ঘটেছিল?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, ৫১ বছর বয়সের বাসচালকের নাম সর্বেশ্বরম। ৫০ জন যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিছুদূর যাওয়ার পর তাঁর বুকে অসম্ভব ব্যথ্যা শুরু হয়। তখন তিনি বুঝতে পারেন এখন যদি আচমকা ব্রেক কষি তাহলে বাসটি দুর্ঘটনার মধ্যে পড়বে এবং বহু মানুষের প্রাণ যাবে। তাই বাসের গতি কমিয়ে দিয়ে হাসপাতালের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু আর টানতে না পেরে বাসটিকে একপাশে রেখে প্রয়াত হন বাসচালক। 

পুলিস সূত্রে খবর, কোয়ামবেরু বাস টার্মিনাস থেকে ৫০ জন যাত্রী নিয়ে সকাল ৮টা ২০ মিনিটে রওনা দিয়েছিলেন বাসচালক সর্বেশ্বরম। মাধুরাভয়ালের কাছে ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হওয়ায় বাসটিকে একপাশে দাঁড় করিয়ে রেখে লুটিয়ে পড়েন তিনি। বাস কন্ডাক্টর থেকে স্থানীয় লোকজন প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করেন তাঁর। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। তবে তাঁর উপস্থিত বুদ্ধিতে বেঁচে গিয়েছেন বহু যাত্রী। যা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।