এসটিএফ-এর জালে বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের আরেক পাণ্ডা মণিরুল ইসলাম


কলকাতা পুলিশের এসটিএফের জালে ধরা পড়ল আরও এক জামাত জঙ্গি। শনিবার দুপুর নাগাদ শিয়ালদহ স্টেশন চত্বর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মণিরুল ইসলাম নামে এক যুবককে। সূত্রের খবর, বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত এই মণিরুল।

জানা গিয়েছে,  গোপনে সূত্র খবর পেয়ে এদিন শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে মোতায়েন ছিল স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফের জনা কয়েক সদস্য। মণিরুল সেখানে উপস্থিত হতেই হাতেনাতে ধরা পড়ে। জানা গিয়েছে, বছর ছাব্বিশের মণিরুল মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানের বাসিন্দা। ধূলিয়ানে যখন দ্বিতীয়বারের মতো মডিউল তৈরি করে প্রভাব বিস্তারের  চেষ্টায় ছিল বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ, তখনই  মণিরুলকে জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য করে নেওয়া হয়েছিল। তার আগে অবশ্য জেহাদে তার মগজধোলাই করা হয়।পয়গম্বর শেখ নামে এক ব্যক্তি ধুলিয়ান মডিউলের মাথা ছিলেন। তাঁর হাত ধরেই মণিরুলের জেএমবি-তে হাতেখড়ি বলে এসটিএফ সূত্রে খবর। জেএমবি-র সদস্য হওয়ার পর মণিরুলকে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয় চেন্নাইতে।খাগড়গড় বিস্ফোরণের মূল চক্রী কওসরের কাছে সে প্রশিক্ষণ পায়। বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের জন্যই তাকে ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছিল। খোঁজখবর নিয়ে এসটিএফ সদস্যরা জানতে পেরেছেন, বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল ধৃত মণিরুল। এদিন এসটিএফে তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। ধুলিয়ান মডিউল এই মুহূর্তে কী অবস্থায় আছে, কতটাই বা সক্রিয়? সেসব জানতে চান তদন্তকারীরা। খোঁজ চলছে মডিউলের অন্যান্য সদস্যদেরও।

এর আগে খাগড়াগড় বিস্ফোরণে যুক্ত কওসর আলিকে গ্রেপ্তার করে বড়সড় সাফল্যের মুখ দেখেছে এনআইএ। অন্যদিকে, বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড দিলওয়ার হাসানকে গ্রেপ্তার করে এসটিএফের নিজেদের দক্ষতা দেখিয়েছে। সম্প্রতি এসটিএফের অভিযানে ধরা পড়েছে খাগড়গড় বিস্ফোরণকাণ্ডের অন্যতম চক্রী কদর কাজী। এবার জালে বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণে অভিযুক্ত মণিরুল ইসলাম। ধারাবাহিকভাবে রাজ্য তথা দেশে নাশকতা দমন অভিযানে এসটিএফের ভূমিকা রীতিমতো প্রশংসিত সর্বত্রই প্রশংসিত হয়েছে।