বিধায়ক খুনে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর, সাসপেন্ড থানার ওসি ও দেহরক্ষী


ভর সন্ধেবেলায় খুন হয়ে গেলেন কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। কর্তব্যের গাফিলতির অভিযোগে হাঁসখালি থানার ওসি ও বিধায়কের দেহরক্ষীকে সাসপেন্ড করল প্রশাসন। দু'জনের বিরুদ্ধেই বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। বিজেপি নেতা মকুল রায়-সহ চারজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে হাঁসখালি থানায়। এদিকে বিধায়ক খুনের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

শাসকদলের যুবনেতা। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জে বিধায়ক হিসেবে যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন সত্যজিৎ বিশ্বাস। এলাকার যেকোনও অনুষ্ঠানে ডাকলেই পাওয়া যেত জনপ্রতিনিধিকে। শনিবার সন্ধ্যায় মাজদিয়া ফুলবাড়ির এলাকায় একটি সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন শাসকদলের এই বিধায়ক। অনুষ্ঠান মঞ্চেই খুব কাছ থেকে বিধায়ককে লক্ষ্য করে গুলি চালায় আততায়ীরা। ঘটনাস্থলেই মারা যান সত্যজিৎ বিশ্বাস। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বিধায়ক হিসেবে একজন দেহরক্ষী পেতেন সত্যজিৎ বিশ্বাস। কিন্তু শনিবার তিনি ছুটি নিয়েছিলেন। দেহরক্ষী ছাড়াই মাজদিয়া এলাকায় সরস্বতী পুজোর ওই অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন বিধায়ক। শুধু তাই নয়, অনুষ্ঠান চলাকালীন এলাকায় কমপক্ষে ১০ থেকে ১১ বার লোডশেডিং হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অন্ধকারের সুযোগ নিয়েই ঘটনার পর চম্পট দেয় আততায়ীরা। একজনের পিছনে ধাওয়া করেছিলেন তাঁরা, কিন্তু ধরতে পারেননি। তদন্তকারীদের সন্দেহ, রীতিমতো পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে।

এদিকে বিধায়ক খুনের ঘটনায় তৃণমূলের তরফে টুইট করে বিজেপির দিকে অভিযোগ তোলা হয়েছে। শাসকদলের বক্তব্য, লোকসভা ভোটের আগে এলাকার অশান্তি তৈরি করতে পরিকল্পনামাফিক বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে খুন করেছেন বিজেপি কর্মীরা। রবিবার নিহত বিধায়কের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে হাঁসখালি যাচ্ছেন তৃণমূলের মহাসচিব ও মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও নদিয়া জেলার পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডল। সোমবার হাঁসখালি যাওয়ার কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।