প্রত্যাঘাতের পরিকল্পনা কীভাবে করেছিল সরকার?‌


প্রত্যাঘাত তো হল। ধূলিসাৎও হয়ে গেল জঙ্গিদের ঘাঁটি। নিকেশ হল ৩৫০ জন জঙ্গি। কিন্তু গোটা অপারেশনে রয়েছেন অনেকেই। বলা হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে মোদিই ছিলেন প্রধান। যাঁর সামনে রাখা ছিল এই প্রত্যাঘাতের নীল নকশা। মঙ্গলবারের বায়ুসেনার প্রত্যাঘাত করার প্রতিটি পদক্ষেপের খবর নিচ্ছিলেন ঠাণ্ডা মাথায়। নয়াদিল্লিতে সাউথ ব্লকে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে তিনি ক্রমাগত জানতে চাইছিলেন আপডেট। কতদূর এগোনো গেল?‌ সব ঠিক আছে তো?‌ বালাকোটে ঢোকা গিয়েছে?‌ 
গোয়েন্দা দপ্তরের শীর্ষ সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, একাধিক হামলার নকশা রচনা করে তুলে ধরা হয়েছিল বায়ুসেনা প্রধান বীরেন্দ্র সিং ধানওয়াকে। যিনি এই পরিকল্পনাতেই সিলমোহর দিয়েছিলেন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বিবরণ দিলেন বায়ুসেনার পর পর পদক্ষেপ ও গতিবিধির। আর এই প্রত্যাঘাতের বিষয়টি পূর্ব পরিকল্পিত। ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা হামলা ঘটেছিল। ঠিক তার পরের দিন বৈঠকে বসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটি। যার নেতৃত্বে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই এই প্রত্যাঘাতের নীল নকশা তৈরি হয়ে যায় বলে সূত্রের খবর। আর এই পরিকল্পনা অনুযায়ী মঙ্গলবার হয় প্রত্যাঘাত।

সোমবার রাতে নৈশভোজ সেরে রাষ্ট্রপতি ভবনে চলে যান প্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন বই পড়া থেকে শুরু করে একাধিক ফোন করেন বলে সূত্রের খবর। তারপর জেগে থাকেন সারারাত। কথা বলেন অজিত ডোভালের সঙ্গেও। তারপর রাত সাড়ে তিনটে। প্রধানমন্ত্রীর ফোন যায় বায়ুসেনা প্রধান এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার কাছে। জেনে নেন সব তৈরি আছে তো?‌ ঠাণ্ডা গলায় জারি হয় অ্যাকশন। তারপর নিস্তব্ধ সাউথ ব্লক। ২১ মিনিটের অপারেশনে তোলপাড় হয়ে যায় পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি।  সকাল হতেই সব প্রকাশ্যে চলে আসে। গোটা ঘটনা রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডুকে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ফিরে যান নিজের বাসভবনে।