' রাজ্যে জরুরি অবস্থা চলছে ', মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ প্রকাশ জাভাকরের


'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানায় বাংলায় জরুরি অবস্থা চলছে।' পুলিশ-সিবিআই সংঘাতে কলকাতায় এসে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন বিজেপি নেতা ও  মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে সোমবার দুপুরে রাজ্য বিজেপি দপ্তরে বৈঠক বসে দলের রাজ্য নেতৃত্ব। বৈঠকে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।

খোদ কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে হানা দিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে রাজ্য পুলিশ। শহরের মেট্রো চ্যানেলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধরনায় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। মোদি সরকারের বিরুদ্ধে দেশে জরুরি অবস্থা জারির অভিযোগ তুলেছেন তিনি। আর তাতেই প্রমাদ গুনছে বঙ্গ বিজেপি। এ রাজ্যে একাধিক মামলায় নাম জড়িয়েছে গেরুয়া শিবিরের নেতাদের। রাজ্য বিজেপির আশঙ্কা, তাঁদের গ্রেপ্তার করতে পারে পুলিশ। এই যখন পরিস্থিতি, তখন রণকৌশল ঠিক করতে সোমবার দলের রাজ্য দপ্তরের জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্য বিজেপি নেতারা। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে সেই বৈঠকে যোগ দিতে কলকাতায় এসেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। বিজেপি রাজ্য দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠকও করেন তিনি। কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রীর অভিযোগ, এ রাজ্যে সাংবিধানিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। জরুরি অবস্থা চালাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বক্তব্য, কংগ্রেসের আবেদনেই চিটফান্ড কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে বিজেপি বা মোদি সরকার নিয়ন্ত্রণ করে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে সমর্থন করেছে দেশের প্রায় সমস্ত বিরোধী দলের নেতারাই। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর কটাক্ষ, ''মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করেছে বিরোধী দলগুলি। কিন্ত তারা নিজেরাই জামিনে রয়েছে। এটা কোনও মহাজোটই নয়। বিরোধীদের কাছাকাছি এনেছে দুর্নীতি। মোদির বিরুদ্ধে একজোট হয়েছে দুর্নীতিগ্রস্তরা।"  তাহলে কি রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে? এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ  মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। এদিকে আবার আগামী ফ্রেরুয়ারি ফের রাজ্য আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জলপাইগুড়ি ময়নাগুড়িতে সভা করবেন তিনি।  

সিবিআই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমণও। তাঁর প্রশ্ন, "সিবিআইকে কি তার কাজ করবে না? কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা যখন কাজ করে, তখন বিরোধীরা বলে – রাজনৈতিক প্রতিহিংসা আর না করলে বলা হয়, খাঁচার তোতাপাখি। বিরোধীরা আগে নিজেদের অবস্থান ঠিক করুক।"