একের পর এক ‘ধর্ষক’ খুন! খোঁজ ‘সিরিয়াল’ কিলারের


ঢাকা: মহিলাদের উপর নির্যাতন চালানোর আগে যেন কেউ দু'বার ভাবে। ধর্ষণ করেও যারা এখনও কোনও শাস্তি পায়নি, তারাও যেন সাজার জন্য প্রস্তুত থাকে–এই বার্তা দিতেই দিনকয়েকের মধ্যেই তিন 'ধর্ষক'কে খুন করেছে এক সন্দেহভাজন ব্যক্তি। এ এই ঘটনায় বাংলাদেশ জুড়েই চাঞ্চল্য দেখা গিয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই সন্দেহভাজন 'সিরিয়াল কিলার'-এর খোঁজ শুরু করেছে। তদন্তকারী দল দাবি করেছে, যে তিনজনের দেহ উদ্ধার করেছে, তাদের সকলের বিরুদ্ধেই ধর্ষণের অভিযোগ ছিল। শুধু তাই নয়, একই ব্যক্তিই যে ওই তিনটি খুন করেছে সে ব্যাপারেও নিশ্চিত তদন্তকারী দল।

শুরুটা হয়েছিল গত মাসের শেষের দিকে। পুলিশ একটি দেহ উদ্ধার করে। তদন্তে জানা যায় উদ্ধার হওয়ার ওই দেহটি এক ধর্ষকের। তার বিরুদ্ধে পোশাক বিক্রেতা এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ ছিল। শুধু দেহ উদ্ধার নয়, তার গায়ে একটি কাগজ মেলে। যেখানে লেখা ছিল–'আমি এক মহিলাকে ধর্ষণ করেছি। ধর্ষণের শাস্তি পেলাম।' ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যেই মাদ্রাসায় পাঠরত এক তরুণীর বাবা থানায় অভিযোগ করেন যে, তাঁর মেয়েকে সজল ও রাকিব নামে দুই দুষ্কৃতী ধর্ষণ করেছে। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ধর্ষণ খবর প্রকাশ হওয়ার পর গত ২৪ জানুয়ারি সজলের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সজলকে গুলি করে খুন করা হয়। এবং সজলের গায়ে সেঁটে থাকা একটি কাগজে লেখা ছিল, 'আমি ওই মাদ্রাসা পড়ুয়াকে ধর্ষণ করেছিলাম।' আর শেষ পর্যন্ত এ মাসের শুরুতেই রাকিবের দেহ উদ্ধার হয়। রাকিবের গায়ে আটকে থাকা কাগজে লেখা ছিল–'আমি রাকিব। মাদ্রাসা তরুণীকে ধর্ষণ করি। ধর্ষকদের এমনই পরিণতি হবে। ধর্ষকরা সতর্ক থাকো।' 'সিরিয়াল কিলার'-এর হদিশ পেতে তল্লাশি অভিযান জারি রয়েছে। তদন্তকারী দলের এক পদস্থ অফিসার দাবি করেছেন, দ্রুত অপরাধীকে ধরা হবে। দেশের সাধারণ মানুষকে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে আবেদন করা হয়েছে।

তবে স্থানীয়দের অনেকেই দাবি করেছেন পুলিশ ও প্রশাসনের গাফিলতির জন্যই কেউ আইন হাতে তুলে নিতে বাধ্য হচ্ছে। টাকা ও ক্ষমতার বলে আইনের ফাঁক গলে সহজেই পার পেয়ে যাচ্ছে ধর্ষকরা। ফলে অনেকটা রবিন হুডের মতোই কিছুটা হলেও জনসমর্থন তৈরি হচ্ছে ওই সিরিয়াল কিলারের পক্ষে।