চট্টগ্রামে ছিনতাই বিমানের যাত্রীরা মুক্ত, গ্রেফতার সশস্ত্র যুবক

চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে নামার পর বিমানটি ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে বলে সন্দেহ। 


বিমান বাংলাদেশের দুবাইগামী বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা করল এক সশস্ত্র যুবক। রবিবার বিকেলে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় ৩টে ২০ মিনিটে ওঠে বিমান বাংলাদেশের বিজি ১৪৭ বিমানটি।

সূত্রের খবর, বিমান মাঝ আকাশে, এমন অবস্থায় আচমকা এক যুবক পাইলটের কেবিনে ঢুকে পড়ে। কেউ কিছু বোঝার আগেই সে পাইলটের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকায়। বিমানে তখন ১৪২ জন যাত্রী এবং দুই পাইলট সহ ৭ জন বিমান কর্মী।

বিমানে থাকা যাত্রীরা পরবর্তী সময়ে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, পাইলট মাথা ঠাণ্ডা রেখে ওই সশস্ত্র যুবকের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন। ওই যুবক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলার দাবি জানান। পাইলট তাঁকে আশ্বস্ত করেন এবং নির্ধারিত সূচি অনুসারেই চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে বিমান অবতরণ করান। কিন্তু তার মধ্যেই তিনি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে রাখেন। ফলে বিমান নামার সঙ্গে সঙ্গে ছিনতাই হওয়া বিমান ঘিরে ফেলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য ডাকা হয় বাংলাদেশের নৌ কম্যান্ডোদের বিশেষ বাহিনীকে।

স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে নামার পরই বিমানকর্মীরা বিমানের আপৎকালীন দরজা খুলে দেন। সেখান দিয়ে নিরাপদে নেমে আসেন যাত্রীরা। যাত্রীরা নিরাপদেই আছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।  

শেষ পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে, অবতরণ করা উড়োজাহাজ থেকে অস্ত্রধারী ব্যক্তিকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যেরা। বাংলাদেশ  বিমানবাহিনীর কর্মকর্তা এবং এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, র‌্যাব, ও পুলিশের সম্মিলিত অভিযানে অস্ত্রধারীকে আটক করা হয়েছে। ওই সশস্ত্র যুবক কোনও নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নাকি এর  পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।

এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন, ''দুই বিমানকর্মীকেই উদ্ধার করা হয়েছে। উড়োজাহাজে আর কোনও যাত্রীও নেই। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।''