কথা রাখলেন মোদী! বাংলায় গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে ঢুকছে দেদার টাকা


সরস্বতী পুজোতে বিদ্যা লাভের পরিবর্তে লক্ষ্মীলাভ! এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরায়। সকলে যখন সরস্বতীর আরাধনায় ব্যস্ত একদল মানুষ তখন গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে ঢুকছে টগাকা৷ হঠাৎ করে হাজার হাজার টাকা ঢুকতে দেখে সেই টাকা তুলতে লম্বা লাইন পোড়ে যায় এটিএমগুলিতে।

এগরা ১ ব্লকের আমদপুর এবং বরদা গ্রামের বাংক গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে গত কয়েকদিন ধরে রোজই ঢুকছে দেদার টাকা। এখনও পর্যন্ত ২০০ জনেরও বেশি গ্রাহকের বাংক অ্যাকাউন্টে ৫ হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা ঢুকেছে বলে জানা গিয়েছে।

ভূমিহীন, স্কুল পড়ুয়া প্রত্যেকেরই অ্যাকাউন্টে রোজই ঢুকছে কম-বেশি টাকা। কিন্তু এই টাকার উৎস্য নিয়ে রয়েছে তৈরি রহস্যজট। কিছুদিন আগে পূর্ব বর্ধমানের রায়নাতে শুধুমাত্র একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে আচমকা হাজার হাজার টাকা ঢুকে পড়ার ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন দেখা দিয়েছিল। এগরাতে অবশ্য কোনও একটি নির্দিষ্ট ব্যাংকের গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে সীমাবদ্ধ নেই এই টাকা ঢোকা। এমন কৌতুহলী ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে বেশ হইচই। টাকার উৎস্য নিয়ে সংবাদমাধ্যম কিংবা গ্রাহকদের কাছে মুখ খুলতেই চাননি ব্যাংক আধিকারিকরা।

তবে একটি রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলেন, 'শুধু উল্লেখ রয়েছে এআইসি থেকে টাকা ক্রেডিট হয়েছে।' এই বিষয়ে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন এগরা ১ ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক বংশীধর ওঝা। গ্রাহকদের একাংশের দাবি, এ নিশ্চয়ই কৃষি বিমার টাকা। রাজনৈতিক খোরাক জোগাতে কেউ কেউ আবার বলছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর প্রতিশ্রুতি পালনে কালো টাকা উদ্ধার করে তা সাধারণ মানুষের অ্যাকাউন্টে ঢুকিয়ে দিয়েছেন।

তবে টাকা পাওয়ার উৎস্য নিয়ে আপাতত কোনও মাথাব্যথা নেই কারও। টাকার উৎস্য যাই হোক না কেন, টাকা তো টাকাই। তাই রোজই তাঁরা লম্বা লাইন দিচ্ছেন ব্যাংক এবং এটিএম কাউন্টারে। অন্য গ্রাহকরাও লাইন দেন ব্যালান্স দেখতে। ভুতুড়ে এ টাকার ভাগ পেয়েছেন মৃত্যুঞ্জয় মান্না নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা। তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে ১০ হাজার টাকা। ২২ হাজার টাকা পেয়েছেন জ্ঞানেন্দ্র পড়িয়াড়ি। ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ইতিমধ্যে কাজে লাগিয়ে ফেলেছেন এ দুজন।তবে প্রত্যেকেই আছেন আশঙ্কায়! পরে সুদ সমেত কেটে নেওয়া হবে নাতো এই টাকা?