হাসপাতালে মৃত্যু মাওবাদী সুদীপের


কয়েক দিন আগেই তাঁর চিকিৎসায় মেডিক্যাল বোর্ড গড়া হয়েছিল। কিন্তু মস্তিষ্কের ভিতরে রক্তচাপের সমস্যার জেরে মৃত্যু হল মাওবাদী বন্দি সুদীপ চোংদার (৪৭) ওরফে কাঞ্চনের। পারিবারিক সূত্রের খবর, সুদীপের অঙ্গ দান করা রয়েছে। তবে হাসপাতাল-কর্তৃপক্ষের দাবি, এ বিষয়ে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি।

২০১০ সালে কলকাতা থেকে গ্রেফতারের পরে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে ছিলেন শিলদার ইএফআর ক্যাম্পে হামলা-সহ বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত সুদীপ। সোমবার তাঁকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় এমআর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তার পর থেকে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে। তাঁকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। সুদীপের চিকিৎসার জন্য চার সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ডও গড়া হয়েছিল। তবে তাঁর চিকিৎসা নিয়ে অবহেলার অভিযোগ করেন সুদীপ-ঘনিষ্ঠেরা। সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে কারা-কর্তৃপক্ষ জানান, সুদীপের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ করা হয়েছিল।

শুক্রবার বেলা সওয়া ১টা নাগাদ মৃত্যু হয় গড়বেতার চাঁদাবিলার বাসিন্দা সুদীপের। চিকিৎসকেরা জানান, হাইপারটেনশনে ভুগছিলেন ওই বন্দি। তার জেরেই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা তৈরি হয়। মস্তিষ্কে ঠিকমতো রক্ত সঞ্চালন হচ্ছিল না। সেই সমস্যার জেরেই তিনি মারা যান। সুদীপের দাদা নিমাই বলেন, ''ভাই উচ্চ রক্তচাপের রোগী ছিল। তাকে নিয়মিত ওষুধ দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলাম। আমাদের বলা হয় প্রেশারের ওষুধ সাপ্লাই নেই।'' অঙ্গদান প্রসঙ্গে সুদীপের দাদা বলেন, ''বাঙুর হাসপাতালে ভাইয়ের অঙ্গদানের কথা জানিয়েছিলাম। ভাই এ দিন মারা গেল। কিন্তু অঙ্গদানের কী হল, বুঝতে পারছি না।''