জেলে বসেই বাকিদের মগজধোলাই! সাত পাক জঙ্গিকে তিহাড়ে সরানোর আবেদন

জম্মু জেল।

জম্মুর জেলে বন্দি থাকা অবস্থাতেই অন্যান্য বন্দিদের মধ্যে সন্ত্রাসের বীজ বুনে দিচ্ছে পাকিস্তানি জঙ্গিরা। সেই কারণে জম্মু জেলে বন্দি সাত পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীকে তিহাড় জেলে সরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানাল জম্মু ও কাশ্মীর সরকার। তাদের তরফে সুপ্রিম কোর্টে এই আবেদন জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র এবং দিল্লি সরকারের মতামত জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত।

সুপ্রিম কোর্টকে জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের তরফে আইনজীবী শোয়েব আলম জানিয়েছেন, ''এই পাকিস্তানি জঙ্গিরা বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। জম্মু জেলে বসেই এরা স্থানীয় বন্দিদের সন্ত্রাসের মন্ত্রে দীক্ষিত করার কাজ শুরু করেছে। তিহাড়ে সম্ভব না হলে এদের হরিয়ানা বা পঞ্জাবে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক।''

জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের এই বক্তব্য শোনারপর বিচারপতি এলএন রাও এবং বিচারপতি এমআর শাহের বেঞ্চ এই আবেদনের একটি কপি সাত পাকিস্তানি বন্দিকেও পাঠানোর কথা জানিয়েছে। পাশাপাশি কেন্দ্র ও দিল্লি সরকারের মতামতও জানতে চেয়েছে তারা।

১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা হামলার পরই জম্মু জেলে বন্দি লস্কর জঙ্গি জাহিদ ফারুককে জম্মু জেল থেকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার আবেদন করেছিল জম্মু ও কাশ্মীর সরকার। ২০১৬ সালে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে ঢোকার সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ফারুকের সঙ্গে এ বার জুড়ে গেল আরও ছয় নাম।

জম্মু ও কাশ্মীরের গোয়েন্দারা দাবি করছেন, জেলবন্দি জইশ ও লস্কর জঙ্গিরা স্থানীয় বন্দিদের দলে টানতে অনেকটাই সফল হয়েছে। মিলছে স্থানীয় কাশ্মীরি বন্দিদের সমর্থনও। স্থানীয় বন্দিদের সহানুভূতি পাওয়ায় তারা জেলে বসেই সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালানোর পরিকল্পনা করছে।

যদিও এই কুখ্যাত জঙ্গিদের এক জেলে থেকে সরিয়ে অন্য জেলে নিয়ে যাওয়ার কাজ খুব একটা সহজ নয়, এমনটাই দাবি জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের। প্রতিটি ক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষ এবং পুলিশকর্মীদের প্রাণহানির আশঙ্কা থাকে। কিছু দিন আগেই এক পাকিস্তানি জঙ্গিকে জেল থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। সেই হামলায় পাকিস্তানি জঙ্গিকে মুক্তও করে ফেলতে পেরেছিল সন্ত্রাসবাদীরা।