১৪ সাফাইকর্মী পদে ৪,৬০০ আবেদনকারী, প্রতিযোগিতায় এমবিএ, ইঞ্জিনিয়াররাও


তামিলনাড়ু বিধানসভায় ১০ সাফাইকর্মী এবং চার শৌচকর্মীর পদে চাকরি পাওয়ার জন্য আবেদন করলেন মোট ৪,৬০৭ জন প্রার্থী। আবেদনকারীদের মধ্যে বড় সংখ্যায় আছেন এমবিএ, এম টেক এবং বি টেক ইঞ্জিনিয়াররাও। এ ছাড়া ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের সংখ্যাও কম নয়। গত বছরের অগস্টে এই শূন্য পদ গুলিতে চাকরির জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছিল তামিলনাড়ু সরকার। দিন কয়েক আগে তামিলনাড়ু সরকারের ওয়েবসাইটে পদপ্রার্থীদের যোগ্যতা সহ অ্যাডমিট কার্ড প্রকাশ করার পরই সামনে আসে কর্মসংস্থানের এই বেহাল চিত্র।
গত ৪৫ বছরের মধ্যে সারা দেশে বেকারত্বের হার এখন সব থেকে বেশি। কিছু দিন আগেই ফাঁস হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের সেই গোপন রিপোর্ট। যেন সেই রিপোর্টের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কর্মসংস্থানের বেনজির ছবি সামনে এল এ বার তামিলনাড়ুতে। বিধানসভার সচিবালয়ে ১৪টি পদে আবেদন করার জন্য যোগ্যতা হিসেবে রাখা হয়েছিল ভাল শারীরিক স্বাস্থ্য, বয়স হতে হবে ১৮ বছরের বেশি। শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনও মাপকাঠি রাখা না হলেও আবেদনকারীদের যোগ্যতার দিকে তাকালে চক্ষু চড়কগাছ হতে বাধ্য। এমবিএ, এম-টেক, বিই, বি-টেক পদপ্রার্থী ছাড়াও বিজ্ঞান, কলা এবং বাণিজ্য শাখার ডিগ্রিধারীর সংখ্যাও কম নয়।

৪,৬০৭ জন আবেদনকারীর মধ্যে ৬৭৭ জন পদপ্রার্থীর আবেদন বাতিল করা হয়েছে। অর্থাৎ, ১৪টি শূন্য পদের জন্য এখন লড়বেন ৩,৯৩০ জন প্রার্থী। যে শূন্য পদগুলির জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে, তাতে মাসিক বেতন ১৫,৭০০ থেকে ৫০,০০০ টাকার মধ্যে।

অবশ্য তামিলনাড়ুর ঘটনাই প্রথম নয়, গত কয়েক বছরে সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন সময় সামনে এসেছে কর্মসংস্থানের শোচনীয় ছবি।  কিছু দিন আগেই উত্তরপ্রদেশে ৬২ পিওন পদের জন্য আবেদন করেছিলেন ৯৩,০০০ জন। তারও আগে মহারাষ্ট্র সরকারের সচিবালয়ের ক্যান্টিনে ১৩ ওয়েটার পদের জন্য আবেদন করেছিলেন ৭০০০ প্রার্থী।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সারা দেশে কর্মসংস্থানের হাল সামগ্রিক ভাবে খারাপ হলেও শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ আরও শোচনীয়। সেই কারণেই যে কোনও পদের চাকরির জন্য ডিগ্রিধারীদের ভিড় আরও বেশি করে সামনে আসছে।