‌অসমে বিষ মদে মৃতের সংখ্যা ৮০ ছাড়াল


অসমের জোরহাট এবং গোলাঘাটে বিষ মদে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮০ জন। এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কমপক্ষে ৩০০ জন। বিষাক্ত দেশি মদেই মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে আবগারি দপ্তর। গোলাঘাটের একটি চা বাগানের বহু শ্রমিককে শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকালের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। তাঁরাও গত বৃহস্পতিবার ওই বিষাক্ত মদ পান করেছিলেন। তাঁদের অনেকেরই অবস্থাসঙ্কট।

ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা। অসুস্থদের মধ্যে ৩৬ জন মহিলা। শুধু জোরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই ভর্তি আছেন ২০০ জন।  মৃতদের মধ্যেও ১৫ জন মহিলা শ্রমিক রয়েছেন। কারণ হিসেবে পুলিস জানিয়েছে, গত সপ্তাহেই ওই এলাকার চা বাগানে বেতন হয়েছিল। বেতনের টাকা হাতে পেতেই দরিদ্র চা শ্রমিকরা নিয়মিত মদ্যপান, নাচগানে মেতে ওঠেন।
গোলাঘাট জেলার সালমারা চা বাগান এবং জোরহাট জেলার টিটাবোর সাব ডিভিশনের দুটি প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে গত বৃহস্পতিবার রাতেই বিষ মদে চা শ্রমিকদের মৃত্যু এবং অসুস্থ হওয়ার খবর আসতে থাকে।

অসম সরকার দুই জেলায় দুটি পৃথক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এপর্যন্ত মোট দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আবগারি দপ্তরের দুজন অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জোরহাট হাসপাতালে অসুস্থদের দেখে বললেন, অসুস্থদের চিকিৎসার তদারকি করছেন ডিরেক্টর অফ মেডিক্যাল এডুকেশন অনুপ বর্মন। অন্যান্য জেলা থেকে চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের জোরহাট এবং গোলাঘাটের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

গোলাঘাটের ডিএসপি পার্থপ্রতিম শইকিয়া সাংবাদিকদের জানালেন, আবগারি দপ্তর তদন্ত শুরু করেছে। সব কটি বেআইনি মদের ঠেক এবং চোলাইয়ের ভাটিগুলিতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিস। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, গোলাঘাটের সালমারা চা বাগানের শ্রমিক বস্তিতে ৬৫ বছরের দ্রৌপদী ওরাওঁ এবং তার ৩০ বছরের ছেলে সঞ্জুই ওই মদ তৈরি করেছিল। দুজনেই মারা গিয়েছে। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী শুক্রবারই টুইট করে স্বজনহারা পরিবারগুলির প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে, অসুস্থদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছিলেন।