প্রেমে ফাঁসিয়ে পরপর চারবার বিয়ে, শ্রীঘরে গ্যারাজ মিস্ত্রি


মালদহ: পেশায় গ্যারাজ মিস্ত্রি। গাড়ি মেরামতের কাজ করতে গিয়ে পোড়া তেল-মোবিলের ছোঁয়ায় চেহারা বদলে যায়। কিন্তু তাতে কী? রোজ বিকেলে বিউটি পার্লারে গিয়ে কার্যত নায়ক বনে যায় সেই গ্যারাজ মিস্ত্রি। আর তাকে দেখেই উঠতি তরুণীরা প্রেমে পাগল। সেই সুযোগেই পোয়াবারো! একের পর এক তরুণীকে প্রেমে ফাঁসিয়ে এক এক করে তিনটি বিয়েও করে ফেলে ওই যুবক। কিন্তু কোনও স্ত্রীর সঙ্গেই সংসার করেনি সে। কিন্তু এবার চতুর্থ বিয়ে করে শ্রীঘরে ঠাঁই হল ওল্ড মালদহের সেই 'রোমিও' যুবকের। আরও দু'জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ধৃতের নাম প্রসেনজিৎ কর্মকার। প্রথমে ওই তরুণীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে নেয় সে।  মেয়েটিকে বলেছিল, সুযোগ পেলেই তাকে ঘরে নিয়ে যাবে। কিন্তু মেয়েটি পরে জানতে পারে, এর আগেও আরও তিনটি বিয়ে করেছে প্রসেনজিৎ। কোনও স্ত্রীর সঙ্গেই অবশ্য সে ঘর করে না। এটা জানার পরই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেয়েটি প্রসেনজিতের বাড়ি গিয়ে হানা দেয়। মেয়েটির সঙ্গে ওই যুবকের বচসা হয়। অভিযোগ, মেয়েটিকে মারধর করে ওই যুবক ও তার বাবা-মা। খবর পেয়ে সেখানে যায় পুলিশ। ঘটনায় অভিযুক্ত ও তার বাবা-মাকে গ্রেফতার করেছে ওল্ড মালদহ থানার পুলিশ। গোটা ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওল্ড মালদহ থানার মঙ্গলবাড়ি এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবক প্রসেনজিৎ কর্মকার পেশায় গ্যারাজ মিস্ত্রি। তরুণীকে মারধর ও প্রতারণার অভিযোগে আরও দু'জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

মালদহের একটি কলেজের ছাত্রী ওই তরুণীর অভিযোগ, প্রসেনজিতের ফরাক্কা ও আদিনায় আরও দুইজন স্ত্রী আছেন। অজান্তেই বছর চারেক ধরে 'বিবাহিত' প্রসেনজিতের সঙ্গে প্রেম করেছেন তিনি। বিয়েও করে ফেলেছেন তাকে। এই বিয়ের কথা প্রসেনজিতের কয়েকজন বন্ধু জানে। অভিযুক্ত যুবকের আরও এক স্ত্রী তাদের বাড়িতে গিয়েছেন শোনার পর এদিন হাতেনাতে ধরতে এই তরুণীও ছুটে যান সেখানে। তারপর বচসা থেকে চুলোচুলি, মারামারি বেধে যায়। নিগৃহীত তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে।