উন্নয়নের নিরিখে দেশে এক নম্বর রাজ্য, বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনে বললেন মুখ্যমন্ত্রী


শিল্পোদ্যোগীরা আগেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন কেন তাঁরা বাংলায় বিনিয়োগ করতে চান। বাংলার শিল্পবান্ধব পরিবেশ, তার বন্ধুত্বপূর্ণ উদার বাণিজ্যের পরিবেশই রাজ্যকে এগিয়ে দিচ্ছে। সেই কথা বলেই বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে আসা অতিথিদের সকলকে প্রত্যয়ের সঙ্গে আহ্বান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, "বাংলায় কেন বিনিয়োগ করবেন? কারণ, বাংলা প্রমাণ করে দিয়েছে বাংলা এগোচ্ছে। উন্নয়নের নিরিখে দেশের এক নম্বর রাজ্য। কর্মসংস্থান বেড়েছে। কৃষিতে হয়েছে উন্নতি। বেড়েছে কৃষকের আয়। নানা ভাষার, নানা মানুষকে সঙ্গে নিয়েই এখানে সকলের উন্নয়ন প্রকল্পে রাজ্য সরকার কাজ করে চলেছে।"

বাংলায় বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, "এই রাজ্য বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের উৎকৃষ্ট উদাহরণ। এখানে কোথাও কোনও ভাগাভাগি হয় না। বাণিজ্যের দিক থেকে ভৌগোলিক অবস্থান ভীষণ ভাল। এখান থেকে আধঘণ্টার দূরত্বে উত্তর-পূর্বের সমস্ত দেশ। এশিয়ার উত্তর-পূর্বের দরজা হল কলকাতা। তাই এখানে লগ্নি হলে গোটা উত্তর-পূর্ব এশিয়ায় তার প্রভাব পড়বে। এখানে দক্ষ শ্রমিক রয়েছে। রয়েছে অসংখ্য প্রতিভা। বিদ্যুতের কোনও অভাব নেই। বিনিয়োগের তাই সেরা ঠিকানা এখন বাংলা।" ততক্ষণে ঠিক এভাবেই প্রশংসা করে রাজ্যে ২৮ হাজার কোটি টাকা লগ্নির ঘোষণা করে দিয়েছেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির সর্বময় কর্তা মুকেশ আম্বানি। দেশ ও বিশ্বের শিল্পপতিদের প্রশংসা করে তাঁদের দরাজ গলায় শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, "আপনারাই আমাদের সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা জাগান। বাংলা মানেই বাণিজ্য। একটা সময় বাংলাকে নিয়ে বহু মানুষ বহু কথা বলত। এখন সে সব ধারণা বদলে গিয়েছে। এখানে মানবসম্পদের অভাব নেই। এখানে কর্মদিবস নষ্ট হয় না। প্রতিশ্রুতি দিলে তা পূরণ করা হয়।" এর পরই ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প-সহ  নানা বিষয়ে রাজ্য যে এক নম্বরে উঠে এসেছে তার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। আমেরিকা ও দুবাইকে লগ্নিতে আহ্বান জানান তিনি। বলেন, রাজ্যে কৃষকের আয় বেড়েছে। তবে গোটা দেশের আয় বাড়াতে হবে।

কেন্দ্রে সরকার পরিবর্তন নিয়ে আশা প্রকাশ করে দেশের নতুন শিল্পনীতির কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, "বাংলা চায় দেশের উন্নতি। কিছুদিন পরে লোকসভা নির্বাচন। কেন্দ্রের সরকার পরিবর্তন হবে। শিল্প ক্ষেত্রে নতুন নীতি হবে। আমরা চাই গোটা দেশের উন্নতি হোক। শুধু বাংলা নয়, সব রাজ্যের মানুষ সুখে থাকুক।"