ছেলে খেতে দেয় না, গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা বৃদ্ধ দম্পতির


হাওড়া: বৃদ্ধ বয়সে মানসিক অবসাদ গ্রাস করেছিল। লঞ্চ থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন প্রবীণ দম্পতি। সহযাত্রীরাই তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যান হাওড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। স্বামী মারা গিয়েছেন, স্ত্রীর চিকিৎসা চলছে। ওই দম্পতির একমাত্র ছেলেকে খবর পাঠিয়েছে পুলিশ।

উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের হাটখোলায় থাকেন তাপস কুমার দত্ত ও তাঁর স্ত্রী শুক্লা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে বাগবাজার থেকে হাওড়াগামী লঞ্চে ওঠেন স্বামী ও স্ত্রী। লঞ্চ যখন উত্তর কলকাতার আহিরীটোলা ঘাটের কাছে পৌঁছয়, তখন আচমকাই গঙ্গায় ঝাঁপ দেন তাঁরা। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক হয়ে যান লঞ্চের অন্য যাত্রীরা। প্রাথমিক বিহ্বলতা কাটিয়ে তাপসবাবু ও তাঁর স্ত্রীকে উদ্ধার করেন সহযাত্রীরাই। তড়িঘড়ি তাঁদের নিয়ে আসা হয় হাওড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। কিন্তু তাপস কুমার দত্তকে বাঁচানো যায়নি। হাসপাতালে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তাঁর স্ত্রী শুক্লাদেবীর চিকিৎসা চলছে হাওড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে।

কিন্তু কেন এমন কাণ্ড ঘটালেন তাপস কুমার দত্ত ও তাঁর স্ত্রী শুক্লা দত্ত? জানা গিয়েছে, হাসপাতালে পৌছনোর পর প্রথমে শুক্লাদেবী জানিয়েছিলেন, ছেলের সংসারে রীতিমতো অবহেলায় দিন কাটে তাঁর ও স্বামীর। ছেলে তাঁদের ঠিকমতো খেতে পর্যন্ত দেয়নি। তাই অভিমানে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন ওই প্রবীণ দম্পতি। কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর পরই  ওই বৃদ্ধা নিজের বয়ান বদলে ফেলেন বলে খবর। তখন মানসিক অবসাদের কথা জানান তিনি।