৯ ফেব্রুয়ারি রাজীব কুমারকে তলব CBI-এর, শিলংয়ে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ


১০ ফেব্রুয়ারি নয়, ৯ ফেব্রুয়ারিই রাজীব কুমারকে হাজিরা দিতে হবে শিলংয়ে। জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। ইতিমধ্যেই কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে বার্তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইমেল এবং ফ্যাক্সের মাধ্যমে এই বার্তা পাঠানো হয়েছে। ৯ ফেব্রুয়ারি তাঁকে শিলংয়ে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, ওইদিনই সিবিআইয়ের সামনে হাজিরা দেবেন রাজীব কুমার।

প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি রাজীব কুমারকে তলব করা হতে পারে। কিন্তু একদিন আগেই তাঁকে ডেকে পাঠাল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে ইমেল এবং ফ্যাক্স পাঠিয়ে আগামী শনিবার রাজীব কুমারকে শিলংয়ে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগেই সিবিআইকে চিঠি লিখে রাজীব কুমার জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি ৮ ফেব্রুয়ারির পর হাজিরা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। এদিকে, ইতিমধ্যেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তৈরি হয়েছে ১০ সদস্যের একটি দল। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ জন দুঁদে আধিকারিকের তালিকা তৈরি করা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। দলের সামনের সারিতে থাকছেন এসপি পদমর্যাদার অফিসাররা। থাকবেন ডিএসপি এবং এএসপি পদমর্যাদার আধিকারিক। আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবার কলকাতায় আসছে এই দলটি। কলকাতা থেকেই শিলং উড়ে যাবেন আধিকারিকরা।

সূত্রের খবর, রাজীব কুমার ছাড়াও বেশ কয়েকজনকে তলব করা হতে পারে। সেই তালিকায় নাম রয়েছে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন, দেবযানী মুখোপাধ্যায়-সহ একাধিক পুলিশ আধিকারিক। এদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে রাজীব কুমারকে। তলব করা হচ্ছে প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষকেও। এদিকে, কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য রণকৌশল ঠিক করতে জন্য সিজিও কমপ্লেক্সে বৈঠক করেছেন সিবিআইয়ের ইস্টার্ন জোনের যুগ্ম অধিকর্তা পঙ্কজ শ্রীবাস্তব। তিনিও শিলং যেতে পারেন বলে সূত্রের খবর। প্রাথমিকভাবে ২০০টি প্রশ্ন তৈরি করা হয়। তার থেকে বাছাই করে ১০০টি প্রশ্ন তৈরি করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তার মধ্যেও মূল ২০ থেকে ২৫টি প্রশ্নের উত্তর পেতে মরিয়া তদন্তকারীরা।