ট্যুইটারে পাকিস্তানকে ভালো এডিটিং সফটওয়ার কেনার পরামর্শ ভারতীয়দের


নয়াদিল্লি: অভিনন্দনকে ভারতের হাতে তুলে দিয়ে পাকিস্তান নিজেকে শান্তির দূত প্রমাণ করতে চেয়েছে৷ কিন্তু সেই চেষ্টা মাঠে মারা গেল একটি মাত্র ভুলে৷ অভিনন্দনকে নিয়ে পাকিস্তান অন্তিম ভিডিও প্রকাশ্যে আনে৷ সেই ভিডিওতে উইং কমান্ডারকে ভারতের মিডিয়াকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে খবর দেখানোর জন্য দোষারোপ করতে শোনা গিয়েছে৷ অভিযোগ, অভিনন্দনের কাছ থেকে জোর করে সেই কথা বার করিয়ে নিয়েছে পাক সেনা৷

যদিও ভিডিওটির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে৷ যে বীর কমান্ডার পাক সেনার সামনে নিজের নাম পরিচয় জানানো ছাড়া আর কোনও বিষয়ে মুখ পর্যন্ত খোলেননি তাঁকে জোর করে ভয় দেখিয়ে ভারতের মিডিয়ার বিরুদ্ধে স্বীকারোক্তি আদায় করিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান এই যুক্তি অনেকের ঢোপে টেকেনি৷ পাশাপাশি ভিডিওতে ২০টি কাট রয়েছে৷ যা নিয়ে মস্করা করতে ছাড়েননি ভারতীয়রা৷ ট্যুইটারে পাকিস্তানকে ভালো এডিটিং সফটওয়ার কেনার পরামর্শ দিয়েছেন তারা৷ তাই এই ভিডিও শেয়ার না করার আবেদনে অনেকে ট্যুইট করেন৷

ভিডিওর শুরুতে অভিনন্দনকে বলতে দেখা যায়, 'আমার বিমানকে গুলি করে নামানো হয়েছিল৷ তারপর আমি প্যারাশুটে করে নিচে নামি৷ স্থানীয় জনতা আমার দিকে ছুটে আসে৷ তাদেরকে থামাতে আত্মরক্ষার জন্য আমি নিজের সার্ভিস রিভলবার ফেলে দিই৷ এরপর উত্তেজিত জনতা আমার উপর চড়াও হয়৷ পাকিস্তানের দুই সেনা অফিসার ওই জায়গা থেকে আমাকে উদ্ধার করে৷ পাক সেনা পেশাদার সেনা৷ আমি তাদের হেফাজতে শান্তিতেই ছিলাম৷'

এরপর উইং কমান্ডারকে বলতে শোনা যায়, ভারতীয় মিডিয়া সবকিছুকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানো হয়৷ সম্পূর্ণ ভিডিওটির মধ্যে এক দুটি জায়গায় কাট রয়েছে৷ মাঝখানের কিছু কথা বাদ দেওয়া হয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে৷ ওই ভিডিও পাক সংবাদমাধ্যমগুলি শেয়ার করতে শুরু করেছে৷ যা কিছুক্ষণের মধ্যে ভাইরাল হয়েছে৷

প্রসঙ্গত উল্লেখ্যযোগ্য, অভিনন্দনের বারবার ভিডিও শুট করে জেনেভা কনভেনশনের ১৩ নম্বর ধারা উলঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান৷ ইমরান খান সরকারের কাছে আর দ্বিতীয় কোনও সুযোগ ছিল না যে তার সাহায্যে অভিনন্দনকে পাকিস্তানে আটকে রাখা যেতে পারে৷