আদালতে হাজিরা দিয়েই রাজ্য এবং সিআইডি-র বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত ভারতী


আদালতের বাইরে ভারতী ঘোষ।

শুধু হাজিরাই দিলেন না, রাজ্য সরকার এবং তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি-র বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ এনে খ়়ড়্গহস্ত ভারতী ঘোষ। শনিবার মেদিনীপুর আদালতে তিনি হাজিরা দেন। আইনজীবীদের সওয়াল-জবাব শেষে তিনি বিচারকের কাছে কিছু বলতে চাওয়ার অনুমতি চান।

এর পরই তিনি দাসপুর থানায় তোলাবাজির মামলায় কী ভাবে 'ফাঁসানো' হয়েছে, তার ব্যাখ্যা করেন। সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি রাজ্য এবং সিআইডি-র সমালোচনা করেন। এর পাশাপাশি তাঁর বক্তব্যের স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় নথিপত্রও জমা দেন তাঁর আইনজীবী।
সম্প্রতি দিল্লির বিজেপি নেতাদের হাত ধরে দলে যোগ দিয়েছেন ভারতী ঘোষ। তিনি গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে বলে এত দিন অভিযোগ উঠত। কিন্তু সম্প্রতি ঝাড়গ্রামে রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের সঙ্গে ভারতী সেই চেনা তালুকে হাজির হন। উপলক্ষ ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর 'ভারত কি মন কি বাত, কার্যকর্তা কি সাথ' কর্মসূচিতে যোগ দেওয়া।

এর পর এ দিনই প্রথম আদালতেও হাজিরা দিলেন তিনি। পরে আদালতের বাইরে এসে ভারতী বলেন, "আমি যদি পলাতক হতাম, তা হলে এখানে বসে আছি কী করে? আদালতের উপর আস্থা রয়েছে। আমার বাড়িতে যখন পুলিশ ঢুকেছে, তখন ওয়ারেন্ট ছিল না। কী ভাবে ঢুকলেন?"

ভারতীর আইনজীবী পিনাকি ভট্টাচার্য বলেন, "আদালতকে যা জানানোর জানিয়েছি। তথ্য-প্রমাণ দাখিল করেছি। এ দিন আমার মক্কেল ভারতী ঘোষও নিজের বক্তব্য রেখেছেন। "
ভারতীর দাবি, সিআইডি 'প্রভাব খাটিয়ে' দাসপুর থানায় তোলাবাজির মামলায় তাঁর নাম জড়িয়েছে। এমনকি ফোন করে সাক্ষীদের প্রভাবিতও করেছেন অফিসারেরা। সেই 'কল রেকর্ড' এ দিন তিনি আদালতেও জমা করেছেন।

যদিও সিআইডি দাবি করে এসেছে, তোলাবাজির মামলায় ভারতী এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। তা আদালতে জমাও দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, চন্দন মাজি নামে এক ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।