জইশ নিয়ে আরও বিপাকে পাকিস্তান, কড়া বার্তা দিল আমেরিকা


সন্ত্রাসবাদীদের মদত দেওয়ার পরিণাম যে কী হতে পারে তা হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছে পাকিস্তান। যুদ্ধের জিগির তুলে শেষমেশ বেকায়দায় পড়ে ভারতীয় পাইলটকে মুক্তি দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (বকলমে পাক সেনা)। তবে এতে চিড়ে ভিজছে না। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ছে ইসলামাবাদ।

ফের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ নিয়ে পাকিস্তানকে কড়া দিল আমেরিকা। উল্লেখ্য, ২০০১ সালেই জইশকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে রাষ্ট্রসংঘ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারপর একপ্রকার বাধ্য হয়ে ২০০২ সালে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে পাকিস্তান। তবে পাক সেনার মদতে কার্যকলাপ চালিয়ে যায় মৌলানা মাসুদ আজহারের সংগঠনটি। এবার তা নিয়েই সরব হয়েছে আমেরিকা। শুক্রবার মার্কিন স্বরাষ্ট্রদপ্তরের আধিকারিক নাথান সেলস বলেন, জইশকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে আমেরিকা। এবার সংগঠনটির টাকার জোগান বন্ধ করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে আমেরিকা।বিশেষজ্ঞদের মতে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নামে বিশাল অঙ্কের মার্কিন অর্থ সাহায্য পাচ্ছে পাকিস্তান। তার সবটাই খাতায়-কলমে দেখানো হয় না। বাস্তবে ওই অর্থের অনেকটাই ভারতের বিরুদ্ধে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিতে খরচ করছে আইএসআই ও পাক সেনা। এতদিন তা দেখেও না দেখার ভান করে আসছিল আমেরিকা। তবে পুলওয়ামা হামলার পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জল যে এবার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে তা বুঝতে পারছে ট্রাম্প প্রশাসন।

এদিকে পাকিস্তান-আফগান সীমান্তে লুকিয়ে রয়েছে নিহত আল-কায়দা নেতা ওসামা বিন লাদেনের ছেলে হামজা বলে জানিয়েছে আমেরিকা। শীঘ্রই সে ইরান পালাতে পারে বলে মনে করছে ট্রাম্প প্রশাসন। এদিন হামজা বিন লাদেনের মাথার দাম ১ মিলিয়ন ডলার ধার্য করেছে আমেরিকা। এদিকে ভারত-পাক উত্তেজনা নয়ে মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেও বলেন, দু'দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে। শীঘ্রই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার আবেদন করা হয়েছে দিল্লি ও ইসলামাবাদের কাছে।