উচ্চমাধ্যমিক:‌ মোবাইল ব্যবহার করায় বাতিল ১৮ জনের পরীক্ষা


মোবাইল নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকায় উচ্চমাধ্যমিকে মোট ১৮ জন পরীক্ষার্থীর এ বছরের পরীক্ষা বাতিল করল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এই পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের বিষয়ে সংসদের অন্যায় আচরণ ও অসাধু কার্যকলাপ সংক্রান্ত কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে। বুধবার শেষ হয়েছে এ বছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা।
সংসদ সভাপতি মহুয়া দাস বলেন, '‌ ১৮ জনের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রত্যেকের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন বাতিল নিয়ে সংসদের '‌মিসকন্ডাক্ট অ্যান্ড ম্যালপ্র‌্যাকটিস'‌ কমিটি তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নেবে।'‌ কমিটি ওই ১৮ জনকে ডেকে তাদের বক্তব্য শুনবে। তাদের কাছে মোবাইল পাওয়ার সময়টি গুরুত্বপূর্ণ। দেখা হবে ওই পরীক্ষার্থী মোবাইল ব্যবহার করে পরীক্ষা ব্যবস্থার কোনও ক্ষতি করতে পেরেছে কি না। অপরাধের গুরুত্ব বুঝে রেজিস্ট্রেশন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পরীক্ষার হলে মোবাইল ব্যবহার রুখতে কঠোর হওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিল সংসদ। রেজিস্ট্রেশন বাতিলের বিষয়টিও ছিল। সেইমতো পরীক্ষা শুরুর দিনই মোবাইল সমেত ধরা পড়ায় ৫ পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করা হয়। দ্বিতীয় দিন আরও ২ জন, চতুর্থ দিন ৬ জন, পঞ্চম দিন ১ জন, সপ্তম দিন ২ জন এবং অষ্টম দিনও ২ জনের পরীক্ষা বাতিল হয়। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা ১৮। এদের মধ্যে তিনজন কলকাতার শ্যামবাজার, কলেজ স্ট্রিট ও খিদিরপুরের কেন্দ্র থেকে ধরা পড়েছে।

মাধ্যমিকের সময় প্রধান শিক্ষক এবং শিক্ষকদের ওপর আস্থা না রাখার অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু সংসদের পক্ষ থেকে পুরো পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রধান শিক্ষক বা ভেনু সুপারভাইজারকে। এদিন সংসদ সভাপতি ইনভিজিলেটর, সেন্টার ইনচার্জ, সেন্টার সেক্রেটারি ও ভেনু সুপারভাইজারদের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, এঁদের তৎপরতা ও কড়া নজরদারিতেই পরীক্ষায় টুকলির অভিযোগ ওঠেনি। পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নবকুমার কর্মকার বলেন, '‌শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত নন এমন ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে শিক্ষক সংগঠনগুলিকে নিয়ে পরীক্ষা পরিচালনা করলে ফল ভালই হবে।'‌ পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র বলেন, '‌প্রধান শিক্ষকদের ওপর আস্থা রাখায় আমরা খুশি।'‌ সরকারি স্কুল শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু বলেন, '‌গত বছর বিজ্ঞানের প্রশ্ন বেশ কঠিন হয়েছিল। এ বছর কোনও সমস্যা হয়নি।'‌‌‌‌‌‌