বিমান দুর্ঘটনায় স্ত্রীর মৃত্যু, স্বামীকে ফোনে না পেয়ে টুইট সুষমার


ইথিয়োপিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় মৃত শিখা গর্গ। 

স্ত্রী মারা গিয়েছেন এক দিন আগে। অথচ তাঁর স্বামী বা পরিবারের সঙ্গে কোনও ভাবেই যোগাযোগ করতে পারা যাচ্ছে না। এমনকি, দেশের বিদেশমন্ত্রীর বারংবার ফোন কল সত্ত্বেও স্বামীর তরফ থেকে কোনও সাড়া মেলেনি। শেষমেশ বাধ্য হয়েই টুইটারেই আবেদন করেছেন বিদেশমন্ত্রী। মৃত শিখা গর্গের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার বিষয়ে তাঁকে সাহায্যের আর্জিও জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি সম্মেলনে যোগ দিতে নাইরোবিগামী বিমানে উঠেছিলেন ভারতের পরিবেশ ও বন মন্ত্রকের উপদেষ্টা শিখা গর্গ। কিন্তু, আকাশে ওড়ার মাত্র ছ'মিনিটের মধ্যেই বিপর্যয়। মাঝআকাশেই ভেঙে পড়ে বিমানটি। ইথিয়োপিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় শিখা গর্গের। তার পর থেকেই তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে বিদেশ মন্ত্রক। সোমবার এ নিয়ে টুইটারেও আবেদন করেছেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ স্বয়ং।

টুইটারে এ দিন সকালে সুষমা লিখেছেন, "দুভার্গ্যজনক ভাবে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত শিখা গর্গের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। তাঁর স্বামীর ফোন নম্বরেও বহু বার কল করেছি। তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যাপারে আমাকে সাহায্য করুন।" সোশ্যাল মিডিয়ায় সকলের কাছে আর্জি সুষমার।
ভারতীয় বায়ুসেনা সম্পর্কে এই তথ্যগুলি জানেন কি?

বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, ইথিয়োপিয়ান এয়ারলাইন্সের দুর্ঘটনাগ্রস্ত ইটি-৩০২ উড়ানে ১৫৭ আরোহীর মধ্যে মোট চার জন ভারতীয় ছিলেন। ইথিয়োপিয়ায় ভারতীয় দূতাবাস সূত্রে জানানো হয়েছে, শিখা ছাড়াও দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বৈদ্য পন্নাগেশ ভাস্কর, বৈদ্য হনসিন অন্নাগেশ, নুকাবরাপু মনীষার। মৃত চার ভারতীয়ের পরিবারের সঙ্গেই যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: ২ মিনিট লেট, তাতেই বেঁচে গেলেন ইথিয়োপিয়ার বিমানের টিকিট কাটা যাত্রী

দুর্ঘটনায় ভেঙে পড়া ইথিয়োপিয়ান এয়ারলাইন্সের ইঞ্জিন। ছবি: রয়টার্স।
রাষ্ট্রপুঞ্জের পরিবেশ সংক্রান্ত একটি সম্মেলনে যোগ দিতে রবিবার নাইরোবি যাচ্ছিলেন শিখা। কিন্তু, বিমান ছাড়ার মাত্র ছ'মিনিটের মধ্যেই তা মাঝআকাশে ভেঙে পড়ে। মৃত্যু হয় ১৪৯ জন যাত্রী-সহ ১৫৭ জন আরোহীর।

নিজের দফতরের কর্মী শিখার মৃত্যুর বিষয়টি কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনই জানিয়েছিলেন সুষমাকে। টুইটারে এ নিয়ে শোক প্রকাশও করেছেন হর্ষ বর্ধন। তার পরই নিজের উদ্যোগে শিখার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা শুরু করেন বিদেশমন্ত্রী। তবে প্রাথমিক ভাবে সে চেষ্টা বিফলে গেলে সোশ্যাল মিডিয়াতেই সকলের কাছে আবেদন করেছেন সুষমা।