‘‌জম্মুর বাস স্ট্যান্ডে শারিক গিয়েছিল পরিবারের জন্য উপার্জন করতে’‌

সেলাইয়ের কাজ শিখে সংসার টানবে। পরিবারের পাশে দাঁড়াবে। এইটুকুই ছিল ইচ্ছে। কিন্তু তা পূর্ণ হল না। মাত্র ১৭ বছর বয়সে শেষ হয়ে গেল মহম্মদ শারিকের জীবন। আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে সেলাইয়ের কাজ শেখার কথা ছিল তার। কিন্তু জম্মুর বাসস্ট্যান্ডে গ্রেনেড হামলা কেড়ে নিল তরতাজা তরুণের প্রাণ। পরিবারকে সাহায্য করা বা পাশে দাঁড়ানো হল না শারিকের। কোনও অপরাধ ছিল না শারিকের। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সব শেষ হয়ে যায়।

মর্মান্তিক, দুঃখজনক এবং লজ্জার। হরিদ্বার জেলার বাসিন্দা এই তরুণ দু'‌বছর আগে বাবাকে হারিয়েছিল। ফলে আর্থিকভাবে শারিকের পরিবার কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে। বড় দাদা ছাড়াও মা এবং পাঁচ বোনকে নিয়ে শারিকের পরিবার। তাই পরিবারকে দাঁড় করাতে সেলাই শেখার জন্য বুধবার রুরকি থেকে জম্মু গিয়েছিল। আর বৃহস্পতিবার ঘটে অঘটন। একটা ছোট্ট জমির ওপর চাষবাস করে কোনওরকমে চলত সংসার। তাই এই অনটন কাটাতে সেলাই শিখতে চেয়েছিল শারিক। শারিকের মা–ও চেয়েছিলেন ছেলে সেলাইয়ের কাজ শিখে রোজগার করুক। কিন্তু তা হল না। একটু চুপচাপ স্বভাবের ছেলে শারিকের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হল না জঙ্গিদের জন্য। তবে রুরকির বিধায়ক প্রদীপ বাত্রা শারিকের পরিবারকে সবরকম সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছেন। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই সাহায্য করা হবে। কিন্তু শারিকের মায়ের কোল যে খালি হয়ে গেল। সেই শূণ্যস্থান তো পূরণ করা যাবে না।
ঘটনার পিছনে হিজবুল মুজাহিদিন গোষ্ঠী রয়েছে বলে দাবি গোয়েন্দাদের। এই বাসস্ট্যান্ড থেকে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার জন্য বাস ছাড়ে। ফলে জম্মু–কাশ্মীরের পাশাপাশি অন্য রাজ্যের মানুষও সেখানে ছিলেন। আর তখনই গ্রেনেড বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের পর পুরো এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়।