স্থল থেকে আকাশ, জল- তিন স্থানেই প্রস্তুত বাহিনী, যৌথ সাংবাদিক সম্মলনে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি


প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন পুলওয়ামায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণ করে সন্ত্রাসে মদতদাতারা কত বড় ভুল করেছে তা তারা অনুমান করতে পারছে না। রাজনাথ সিং শ্রীনগরে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে হামলায় যারা জড়িত তাদের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। অরুণ জেটলিও বলেছেন, ওসামা বিন লাদেনকে খতম করার মতো অভিযান ভারতও করতে পারে। পুলওয়ামা সন্ত্রাসের পর গত ১৪ দিন ধরে এভাবেই ভারত পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। কিন্তু, এরপরও পাকিস্তান সাফাই দিয়েই চলেছে বলে মনে করছে নয়াদিল্লি। সন্ত্রাসের মদতদাতা হিসাবে প্রতিপন্ন হওয়া পাকিস্তানকে তাই আর একচুলও জমি ছাড়তে রাজি নয় ভারত।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্য়ায় সে কথাই বুঝিয়ে দিলেন ভারতের তিন বাহিনীর প্রতিনিধিরা। এক যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে পাকিস্তানকে চূড়ান্ত শাসানি দেওয়া হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে বায়ু সেনার এয়ার ভাইস মার্শাল রবি কাপুর সাফ জানিয়ে দিলেন নিজেদের মান বাঁচাতে সমানে মিথ্যা বয়ান দিয়ে চলেছে পাক বাহিনীর মুখপাত্র। এমনকী, আন্তর্জাতিক দুনিয়াকেও মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ এনেছেন তিনি। এরপরই বক্তব্য রাখতে গিয়ে সেনবাহিনীর মেজর জেনারেল সুরেন্দ্র সিং মহল অভিযোগ করেন, লাগাতার সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে চলেছে পাকিস্তান। নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সমানে গোলা-গুলি এবং মর্টার ও শেলিং নিক্ষেপ করছে তারা। ভারতীয় সেনা সেই আক্রমণ প্রতিহত করছে। তবে এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনও আক্রমণ ভারতের তরফে করা হয়নি। সেনাবাহিনীকে সতর্ক রাখা হয়েছে। পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের আঁতুরঘর হিসাবে কাজ করে গেলে সেই সব জঙ্গি ক্যাম্প বারবার গুঁড়িয়ে দেওয়ার মতো কাজ করবে ভারতীয় সেনা।

নৌসেনার রেয়ার অ্য়াডমিরাল ডিএস গুজরাল জানান, জলসীমার উপরে এবং জলের নিচে চূড়ান্ত সতর্কতায় বাহিনী-কে রাখা হয়েছে। চূড়ান্তভাবে তৈরি আছে বাহিনী। শুধু নির্দেশ পাওয়ার অপেক্ষা। পাকিস্তানের দিক থেকে যে কোনও হামলার সম্ভাবনা থাকলে তাকে প্রতিহত করতে নৌসেনা তৈরি আছে বলেও জানান তিনি।

তিনি বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্তাদের সাফ কথা, পাকিস্তান ধৃষ্টতা দেখাতে চাইছে। কিন্তু, ভারতের বুকে সন্ত্রাস চালিয়ে এই সাহস দেখানোর মতো সময় পাকিস্তানকে আর দেওয়া হবে না বলেই বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশ যে এই মুহূর্তে নিরাপত্তার দিক থেকে চূড়ান্ত সতর্কতায় রয়েছে তা বারবার জানিয়ে দিয়েছে নৌসেনা থেকে শুরু করে সেনাবাহিনী ও বায়ুসেনা।