চুল প্রতিস্থাপনের দু’দিন পরই মৃত্যু মুম্বইয়ের ব্যাবসায়ীর

 মাথার চুল ঝরে পড়া এখন অত্যন্ত স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাজারের কেমিক্যালে মেশানো তেল-শ্যাম্পু ব্যাবহার করে অনেকেই এই সমস্যায় ভুগছেন আজকাল। সমস্যার সমাধান করতে কেউ দামি ওষুধ লাগিয়ে চুল গজানোর চেষ্টা করেন তো কেউ হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করান। আর পাঁচজনের মতো বছর ৪৩-এর এক ব্যক্তিও ভেবেছিলেন অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া চুল ফিরে পাবেন। কিন্তু সে ইচ্ছা আর পূরণ হল না তাঁর। সাধের চুল ফিরে পেতে গিয়ে প্রাণ হারালেন ব্যক্তি।

মৃতের নাম শ্রাওয়ান কুমার চৌধুরি। বুধবার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৭ মার্চ মুম্বই সেন্ট্রালের একটি ক্লিনিকে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করাতে গিয়েছিলেন তিনি। দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা ধরে চলে অস্ত্রোপচার। শুক্রবার মধ্যরাত আড়াইটা নাগাদ শেষ হয় সেই অস্ত্রোপচার। তারপর থেকেই বিভিন্ন সমস্যায় ভুগতে শুরু করে মুম্বইয়ের সাকিনাকার বাসিন্দা। শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। মুখে ও গলায় ব়্যাস বেরোতে থাকে। পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে পরের দিনই তাঁকে পওয়াইয়ের এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চুল প্রতিস্থাপনের পর দীর্ঘ ৪০ ঘণ্টা জীবনযুদ্ধে লড়াই করে শেষমেশ হার মানেন শ্রাওয়ান। ৯ মার্চ মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন তিনি। চিকিৎসকরা জানান, অস্ত্রোপচারের পর গোটা দেহে এলার্জি ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই কারণেই প্রাণ হারান তিনি।

পুলিশেরও প্রাথমিক ধারণা, মারাত্মক এলার্জির জেরেই মৃত্যু হয় ওই ব্যবসায়ীর। ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর মামলা দায়ের করে পুলিশ। বিষয়টির তদন্তে নেমেছে পুলিশ। যে ক্লিনিকে চুল প্রতিস্থাপন করিয়েছিলেন, সেখানকার ডার্মাটলোজিস্ট জানান, একবার অস্ত্রোপচার করেই ন'হাজার চুল বসাতে চেয়েছিলেন। যা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। তাঁকে সতর্ক করা হলেও সেসবে কান দেননি শ্রাওয়ান। তবে, ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে জানায় পুলিশ। এদিকে, একটি সিটিংয়ে তিন হাজারের বেশি চুল প্রতিস্থাপন না করার পরামর্শই দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাই আপনারও যদি এমন কোনও পরিকল্পনা থাকে, তবে সাবধান। সঠিক পরামর্শ মেনেই সিদ্ধান্ত নেবেন।