মাসুদ আজহার জীবিতই, বিবৃতি দিয়ে দাবি জইশের


মাসুদ আজহার।

দু'দিন আগে পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি বলেছিলেন, তাঁদের দেশেই আছে জইশ প্রধান মাসুদ আজহার। তবে গুরুতর অসুস্থ মাসুদ এখন বাড়ি থেকেই বেরোতে পারে না। আজ কিছু ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করতে থাকে, মাসুদের মৃত্যু হয়েছে। কেউ বলে, অসুস্থতার জেরে মৃত্যু! কেউ বা বলে, ভারতের সেনা অভিযানেই নাকি প্রাণ গিয়েছে তার। কিন্তু খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেনি কোনও সরকারই। রাতের দিকে জইশ-ই-মহম্মদের তরফে এক বিবৃতি দিয়ে দাবি করা হয়, মাসুদ সুস্থই রয়েছে।

একটি পাক চ্যানেলও দাবি করেছে, মাসুদ বেঁচে আছে এবং ভাইরাল হয়ে যাওয়া খবরটি 'ভুল'। পাক চ্যানেলের দাবি, জইশ প্রধানের পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রেই তারা জেনেছে, মাসুদ জীবিত। পাক সরকার অবশ্য চুপ। তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধরিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ''এ ব্যাপারে এই মুহূর্তে আমার কাছে কোনও খবর নেই।'' রাত পর্যন্ত ভারত সরকারও কিছু বলেনি। 
অথচ আজ দিনভর ফেসবুক, টুইটার কিংবা হোয়াটসঅ্যাপে মাসুদের 'মৃত্যুসংবাদ' সংবলিত লিঙ্ক পেয়েছেন অনেকেই। যার কোনওটিতে দাবি করা হয়েছে, কিডনি বিকল হয়ে গত কাল বিকেলে ইসলামাবাদের সেনা হাসপাতালে মারা গিয়েছে মাসুদ। কোনওটির আবার বক্তব্য, বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার বোমার আঘাতেই মৃত্যু হয়েছে জইশ প্রধানের। 
একটি প্রতিবেদনে এ-ও লেখা হয়েছে যে, ''ভারতের অভিযানে মাসুদ এবং প্রাক্তন আইএসআই অফিসার কর্নেল সেলিম গুরুতর আহত হয়। হাসপাতালে সেলিমকে মৃত ঘোষণা করা হয়। মাসুদ মারা যায় ২ মার্চ।'' টুইটারে '#মাসুদ আজহার ডেড' ট্রেন্ডিং। ভারতের গোয়েন্দা কর্তারা জানিয়েছেন, মাসুদের চিকিৎসা চলছে— এর বাইরে তাঁদের কাছে কোনও খবর নেই। একটি সূত্রের বক্তব্য, মাসুদের শেষ অডিয়ো বার্তা প্রকাশিত হয়েছিল গত ৫ ফেব্রুয়ারি। ভারতের নজর ঘোরাতে মাসুদের মৃত্যুর খবর পাক সরকারই বকলমে ছড়াচ্ছে কি না, এমন সন্দেহও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। উল্টো দিকে, ভারতের 'শৌর্য' প্রচারে কোনও মহল মাসুদের মৃত্যুসংবাদ রটাচ্ছে কি না, জল্পনা রয়েছে তা নিয়েও।