মৃত জঙ্গির সংখ্যা জানতে চাওয়া লজ্জার, ইস্তফা কংগ্রেস নেতার

বিনোদ শর্মা। 

বালাকোটে সেনা অভিযানে কত জনের মৃত্যু হয়েছে, বিরোধীরা এই প্রশ্ন তুলেছেন বারবার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ থেকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারমন কেউই এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেননি। বরং বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক অমিত শাহ অভিযানে মৃত জঙ্গিদের সংখ্যা উল্লেখ করে দলের মধ্যে খানিকটা একা হয়ে পড়ছেন খানিকটা। এ বার কংগ্রেসেরই এক নেতা উল্টো সুর গাইলেন, বললেন, বালাকোট অভিযানে জঙ্গি মৃত্যুর সংখ্যা জানতে চাওয়াটা দুঃখজনক। সেই যুক্তি দেখিয়েই দল থেকে ইস্তফা দিতে চাইলেন বিনোদ শর্মা।
বিহারের কংগ্রেস নেতা বিনোদ বলেন, কংগ্রেসের তরফে বায়ুসেনা অভিযানে কত জনের মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে বার বার প্রশ্ন তোলা হয়েছে। কংগ্রেসের হাইকম্যান্ড সেনাদের ভাবাবেগে এ ভাবে আঘাত করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এ রকম তুচ্ছ রাজনীতি তাঁর পছন্দ নয় বলেও উল্লেখ করেন বিনোদ।

লোকসভা নির্বাচনের আগে বিহারের সমীকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এমন সময়ে দলের প্রবীণ নেতা ও মুখপাত্র বিনোদের মন্তব্যে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।  

শনিবার কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীকে একটি চিঠি দিয়েছেন বিনোদ এই মর্মে। সেখানে তিনি বলেছেন, কংগ্রেসের হাইকম্যান্ডের এ রকম মন্তব্যে দলের সাধারণ কর্মী-সমর্থকরা যথেষ্ট দুঃখ পাচ্ছেন। গত এক মাসে রাহুল গাঁধীকে তিনি একাধিক বার পুলওয়ামা হামলার পর চিঠি লিখেছেন, এমনটাও বলেন বিনোদ। দলের বেশ কিছু নেতার অসংবেদনশীল মন্তব্যের কথাও তিনি উল্লেখ করলেও সে বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি। 

বিনোদের মতে, বায়ুসেনা অভিযানে মৃত জঙ্গির সংখ্যা জানতে চাওয়া আসলে শিশুসুলভ ও লজ্জাজনক। কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দেওয়াটা তাঁর কাছে অত্যন্ত বড় একটা কষ্টের জায়গা। বুকের মধ্যে একটা পাথর রয়ে গেল, বলেন তিনি। তাঁর কথায়, সন্ত্রাসবাদীরাই এ জাতীয় মন্তব্যে উৎসাহ পাচ্ছে।

কংগ্রেস জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গাঁধী, রাজীব গাঁধীর আদর্শ থেকে সরে আসছে বলেও জানান তিনি। কংগ্রেসের সদস্যদের পাকিস্তানি সদস্য বলা হচ্ছে, এমনটা জানিয়ে দুঃপ্রকাশও করেন তিনি। বিহার কংগ্রেসের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক বিনোদ শর্মা ১৯৯৬ সালে পালিগঞ্জ থেকে লড়েছিলেন। ১৯৯৬ থেকে ২০০০ পর্যন্ত কংগ্রেসের জাতীয় ছাত্র সংগঠনের পদাধিকারীও ছিলেন তিনি।