ফের জঙ্গিহানা! জম্মু বাসস্ট্যান্ডে ভয়াবহ গ্রেনেড বিস্ফোরণ


দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামার পর এবার জম্মু বাসস্ট্যান্ড। এবার সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে বিস্ফোরণ হয়। গ্রেনেড বিস্ফোরণ হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, বাস দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আটজন। কিন্তু পরে জম্মু-কাশ্মীর পুলিসের এক আধিকারিক জানান, ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৮ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের প্রত্যেককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জম্মু বাসস্ট্যান্ড ব্যস্ততম হিসেবেই পরিচিত। ফলে বেলা যত বাড়ে, ততই বাড়ে ভিড়। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা নাগাদ আচমকা তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাওয়া যায় ওই বাসস্ট্যান্ডে।

পুলিসের দাবি, দূর থেকে গ্রেনেড ছোড়া হয় বাসস্ট্যান্ডে। তাতেই হামলা হয়। এর জেরে বাসস্ট্যান্ডে আতঙ্ক ছড়ায়। হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পুলিস ও সিআরপিএফের আধিকারিকরা।

শুরুতেই ঘিরে ফেলা বাসস্ট্যান্ড। সরিয়ে দেওয়া যাত্রীদের। শুরু হয় উদ্ধার কাজ। তত্পরতার সঙ্গে আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই তাঁদের চিকিত্সা শুরু হয়েছে। বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, হামলার জেরে একাধিক বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আপাতত বাস পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।

তবে এই হামলার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত তা এখনও জানা যায়নি। কোনও জঙ্গি সংগঠন এখনও দায় স্বীকার করেনি। যদিও তদন্ত শুরু হয়েছে এই ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এর আগে দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে জঙ্গিহানা হয়। শহিদ হন ৪০ জন জওয়ান। আহত হন অনেকে। ওই হামলার দায় নেয় পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিসংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ।

তার পর পাকিস্তানের বালাকোটে জইশের সবচেয়ে বড় জঙ্গিঘাঁটিতে গিয়ে হামলা চালিয়ে এসেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। তার পর থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে পাকিস্তানের হামলা বেড়েছে।

তার পর ফের বৃহস্পতিবারের হামলা। এখন দেখার পরিস্থিতি এবার কোনদিকে যায়।