চাপের মুখে নতি স্বীকার, পাকিস্তানে গ্রেপ্তার জঙ্গি মাসুদের ভাই ও ভগ্নিপতি


ভারতে চাপে জঙ্গি ধরপাকড় শুরু করল পাকিস্তান৷ জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের একাধিক আত্মীয়-সহ ৪৪ জন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করল পাক প্রশাসন৷ গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গিদের মধ্যে রয়েছে মাসুদের ভাই তথা পুলওয়ামা হামলার মূলচক্রী মুফতি আবদুল রউফ আসগার এবং জঙ্গি নেতার ভগ্নিপতি হামাদ আসগর৷ মঙ্গলবার প্রেসবিবৃতি দিয়ে একথা জানাল ইমরান সরকার৷ তবে পাকিস্তানের এই পদক্ষেপকে বিড়ালের মাছ পাহারা দেওয়ার সঙ্গেই তুলনা করছে ওয়াকিবহাল মহল৷ তাঁদের যুক্তি, আন্তর্জাতিক মহলের চাপ এড়াতে সম্পূর্ণ বিষয়টি ইমরান প্রশাসনের একটা কৌশল৷ যদি সত্যি ইমরান খানের সরকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চায়, তবে ভারতের দাবি মেনে জঙ্গিদের এখনই নয়াদিল্লির হাতে তুলে দেওয়া উচিত৷

মঙ্গলবার প্রেস বিবৃতিতে পাক সরকার জানায়, নিষিদ্ধ সংগঠনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে৷ সেই উদ্দেশ্যে একাধিক নিষিদ্ধ সংগঠনের ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ যাদের মধ্যে মুফতি আবদুল রউফ আসগার ও হামাদ আজগরের নাম উল্লেখযোগ্য৷ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে, নিষিদ্ধ সংগঠনের বিরুদ্ধে এই কঠোর পদক্ষেপ জারি রাখবে সরকার৷ পুলওয়ামায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পরই পাকিস্তানের হাতে সেই নাশকতা সম্পর্কিত একটি ডসিয়ের তুলে দেয় ভারত৷ সূত্রের খবর, সেই ডসিয়েরে হামলার মূলচক্রী হিসাবে নাম ছিল মুফতি আবদুল রউফ আসগারের৷ এবং সেই ডসিয়েরকে হাতিয়ার করে আন্তর্জাতিক স্তরেও পাকিস্তানের উপর চাপ বাড়ায় ভারত৷ যদিও এই সিদ্ধান্ত কোনও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়ে নেওয়া হয়নি বলে দাবি করেন পাক অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী শেহরিয়ার খান৷

পাকিস্তানের এই পদক্ষেপের পিছনে নিশ্চয়ই কোনও কূট-কৌশল রয়েছে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহলের একাংশ৷ তাঁদের যুক্তি, যদি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সত্যি কঠোর পদক্ষেপ নিতে চাইত ইমরান প্রশাসন, তবে মাসুদ আজহার, হাফিজ সইদ, দাউদ ইব্রাহিমদের সেদেশে আশ্রয় দিত না তারা৷ এবং একাধিক প্রমাণ দেওয়ায় এই সমস্ত জঙ্গিদের ভারতের হাতে তুলে দিত পাকিস্তান৷ আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, গ্রেপ্তারির আড়ালে আসলে এই জঙ্গিদের 'সেফ শেল্টার'-এ পাঠিয়ে দিতে চাইছে পাকিস্তান৷ যাতে আন্তর্জাতিক মহলের চাপ কমানো যায় এবং সকলের নজর অন্যদিকে ঘোরানো যায়৷