সমুদ্রের ধারে মোদীর ১০০ কোটির বিলাসবহুল বাংলো ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দিল প্রশাসন


মুম্বই: সমুদ্রের দিকে মুখ করে থাকা এক বিলাসবহুল বাংলো বানিয়েছিলেন নীরব মোদী। কম করে ১০০ কোটি খরচে তৈরি হয়েছিল ৩৩,০০০ স্কোয়্যার ফুটের সেই বাংলো। মহারাষ্ট্রের আলিবাগে সেই বাংলো নিয়ে চিন্তায় পড়ে যায় মহারাষ্ট্র সরকার। গত ছ'সপ্তাহ সেই বাংলো নিয়েই আলোচনা চলে, কারণ এটি একটি অবৈধ নির্মাণ। উপকূল এলাকার নিয়ম ভেঙেই তৈরি হয়েছিল সেই বাংলো। বাংলোর গাঁথনি অত্যন্ত মজবুত। কিছু দিয়েই ভাঙা যাচ্ছে না। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিও কাজ দেয়নি। বাধ্য হয়ে ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হল মোদীর সাধের বাংলো।

ওই বাংলোয় গাড়ি নিয়ে সরাসরি ঢুকে যাওয়ার ব্যবস্থা ছিল। সুইমিং পুল, পার্ক-সহ ছিল বিনোদনের সবরকম বন্দোবস্ত। কিন্তু সমুদ্র উপকূলে বাড়ি বানাতে গেলে যে সমস্ত নিয়ম মেনে চলতে হয়, তার ধার ধারেননি নীরব মোদী। নজর দেননি পরিবেশ সংরক্ষণের দিকেও। বরং বেআইনিভাবেই বিলাসবহুল ওই বাংলোটি তৈরি করিয়েছিলেন। বাংলোর বিরুদ্ধে ২০০৯ সালেই বম্বে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।

পঞ্জাব ব্যাংকের কয়েক হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নীরব মোদীর দেশত্যাগী হওয়ার খবরেই টনক নড়ে স্থানীয় প্রশাসনের। হাইকোর্টের নির্দেশ পেয়ে গত ২৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় বাংলো ভাঙার কাজ।

কিন্তু প্রায় দেড় মাস পেরোলেও এখনও পর্যন্ত কাজ এগোয়নি সেভাবে। শুধু মাত্র কাঁচের জানলা, দরজা শুধু ভাঙা পড়ে। মেঝে, পিলার এবং ছাদের চাঙর পর্যন্ত ভাঙা সম্ভব হয়নি। বাংলোর গাঁথনি এতটাই মজবুত যে ছেনি-হাতুড়ি, এমনকি আধুনিক যন্ত্রপাতিও কাজ দেয়নি। বাধ্য হয়ে তাই ডিনামাইট আনা হয়। ১০০টি বিস্ফোরক ব্যবহার করে আজ সকালে বাংলোটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ১৩ হাজার কোটি টাকা হাতানোর অভিযোগ নীরব মোদীর বিরুদ্ধে। তবে গোয়েন্দাদের টনক নড়ার আগেই দেশ ছেড়ে পালান তিনি। তার পর একবছরেরও বেশি পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত তাঁকে ফেরানো সম্ভব হয়নি।