লাইনে আগুনের ফুলকি, অফিস টাইমে ঘণ্টা খানেক বন্ধ মেট্রো পরিষেবা

অফিসের ব্যস্ত সময়ে ফের মেট্রোয় আগুন আতঙ্ক যাত্রীদের। যার জেরে প্রায় ঘণ্টা খানেক বন্ধ থাকে মেট্রো পরিষেবা। চূড়ান্ত দুর্ভোগে পড়তে হয় যাত্রীদের।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দমদম থেকে কোনও মেট্রো ছাড়েনি। স্টেশনে পৌঁছে যাত্রীরা জানতে পারেন, কোনও যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে মেট্রো পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।

পরে মেট্রো রেল সূত্রের খবর, সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে নোয়াপাড়া থেকে কবি সুভাষগামী একটি মেট্রো ছাড়ে। মেট্রোটি দমদম স্টেশনে ঢোকার সময়ই লাইনে আগুনের ফুলকি দেখা যায়। ধোঁয়া দেখা যায় বলেও জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা।

এর পরই মেট্রোটিকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয় স্টেশনে অনেকটা আগে। মেট্রো রেলের কর্মীরা এসে যাত্রীদের চালকের কামরা দিয়ে বার করে আনেন।

মেট্রো রেল সূত্রের খবর, সে সময় গিরীশ পার্ক থেকে কবি সুভাষের মধ্যে মেট্রো চলাচল করেছে। দমদম থেকে কখন পরিষেবা স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে বলেও জানিয়েছিলেন মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। মেট্রো রেলের জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, ''দ্রুত মেট্রো চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।''

মেট্রো বিভ্রান্তির অভিযোগ অবশ্য যাত্রীদের কাছে নতুন নয়। বারবারই মেট্রোয় দুর্ভোগে পড়তে হয় যাত্রীদের। মাস খানেক আগেও কুঁদঘাট স্টেশনের কাছে থার্ড লাইনে আগুনের ফুলকি দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে মেট্রো চলাচল বন্ধ করে ঘটনাস্থলে পৌঁছন ইঞ্জিনিয়াররা। যাত্রীদের নিরাপদে বার করে আনা হয়। এ ছাড়াও কখনও মেট্রোর সময়ানুবর্তিতা, কখনও কামরায় দরজা বন্ধ না হওয়া, দরজা খোলা অবস্থাতেই ছুটতে শুরু করার মতো যাত্রীদের একাধিক অভিযোগ মেট্রো পরিষেবার বিরুদ্ধে।