বৃহত্তম গণতন্ত্রের পরীক্ষা শুরু


এ মহাসংগ্রাম গণতান্ত্রিক ভাবেই শেষ হোক, অগণতান্ত্রিকতা যেন স্পর্শ করতে না পারে, রইল এই প্রার্থনা। 

মহাসংগ্রাম শুরু। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের রাশ থাকবে কার হাতে, তা নির্ধারণের প্রক্রিয়া সূচিত হয়ে গিয়েছে। নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে রবিবারই আনুষ্ঠানিক ভাবে রণদুন্দুভির নিনাদ শুনিয়ে দিয়েছে ভারতের  নির্বাচন কমিশন। বিন্দুমাত্র কালক্ষেপ না করে প্রতিটা শিবির শঙ্খনাদ করতে শুরু করেছে। আর উত্তেজনায়, উদ্দীপনায় ঠাসা এই সাধারণ নির্বাচনের মুখোমুখি হয়ে ভারত যেন তার গণতন্ত্রের এক অভূতপূর্ব নৃত্যশৈলীর সাক্ষী থাকার প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে।

বিনা যুদ্ধে সূচ্যগ্র মেদিনীও নিজের নিজের ভাগ থেকে ছাড়তে রাজি নয় কোনও শিবিরই, এ কথা বলাই বাহুল্য। কিন্তু প্রত্যেকেই চাইছেন, জনমতে নিজেদের সর্বাধিক সম্ভাব্য অংশীদারিত্ব সুনিশ্চিত করতে তত্পর। অতএব তত্পরতাও সর্বত্র সেই লক্ষ্যেই। স্থানীয় স্তরের রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে সুবৃহত্ সর্বভারতীয় সংগঠন— সব তরফেই এই তত্পরতা দৃশ্যমান।

ব্লগ লিখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ডান্ডি অভিযানের ৮৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে সেই ব্লগ। কিন্তু মহাত্মা গাঁধীর কংগ্রেসের সঙ্গে বর্তমান কংগ্রেসের ফারাক তুলে ধরার চেষ্টা করলেন সেই ব্লগে।

মোদীর আক্রমণের জবাব মোদীর গুজরাতে বসেই দেওয়ার চেষ্টা করল কংগ্রেস। দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে প্রস্তাব গৃহীত হল প্রধানমন্ত্রীর নিন্দা করে। দলের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পরে প্রথম প্রকাশ্য ভাষণে নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করলেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী।
সম্পাদক অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা 

কংগ্রেস আর বিজেপির বাকযুদ্ধে সীমাবদ্ধ নেই, রাজনৈতিক ভাষ্যটা আর। কংগ্রেস সম্পর্কে অত্যন্ত কঠোর মনোভাব দেখিয়ে বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী জানিয়ে দিলেন, কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও সমঝোতা হবে না। দিল্লিতে কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টি প্রায় মুখোমুখি সঙ্ঘাতের প্রস্তুতি শুরু করে দিল। মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে সামিল হলেন প্রধান বিরোধী দলনেতার ছেলে। গুজরাতে এবং বাংলায় দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন বেশ কয়েক জন কংগ্রেস বিধায়ক।

সব মিলিয়ে সরগরম রাজ্য, জাতীয় রাজনীতি। প্রায় সব পক্ষই সর্বশক্তি প্রয়োগের মানসিকতা নিয়ে হাজির হয়েছে ময়দানে। এ মহাসংগ্রাম গণতান্ত্রিক ভাবেই শেষ হোক, অগণতান্ত্রিকতা যেন স্পর্শ করতে না পারে, রইল এই প্রার্থনা।