সচিত্র ভোটার স্লিপে আর ভোট নয়, জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন


এবার 'ফটো ভোটার স্লিপ' দেখিয়ে ভোট দেওয়া যাবে না। 'ভোট পরিচয়পত্রে' বদল এনে এমনটাই জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ আসন্ন নির্বাচনে ভোটদানের ক্ষেত্রে ফটো ভোটার স্লিপ আর গ্রহণযোগ্য 'পরিচয়পত্র' হিসাবে গণ্য হবে না। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের আগে এক নির্দেশ জারি করে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, ভোটদানের ক্ষেত্রে তাদের সরবরাহ করা 'ফটো ভোটার স্লিপ' অন্যতম পরিচয়পত্র হিসাবে গ্রহণ করা হবে। শুধু ফটো ভোটার স্লিপ দেখালেই ভোট দিতে পারবেন ভোটাররা। সেক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত অন্যান্য গ্রহণযোগ্য পরিচয় লাগবে না। কিন্তু আপাতত কমিশন মনে করছে ফটো ভোটার স্লিপে পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা নেই। সহজেই তা নকল করা যায়। তাছাড়া দেশের সর্বত্র সচিত্র পরিচয়পত্র (ভোটার কার্ড) বিলি করার কাজ শেষ না হওয়ায় ভোটদানের ক্ষেত্রে 'ফটো ভোটার স্লিপ' অন্যতম গ্রহযোগ্য পরিচয়পত্র হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়।

কমিশন জানাচ্ছে, বর্তমানে ৯৯ শতাংশ মানুষ সচিত্র পরিচয় পত্র পেয়ে গিয়েছেন। ফলত 'ফটো ভোটার স্লিপ' আর গ্রহণযোগ্য হবে না। তবে এখনই ফটো ভোটার স্লিপ বিলি করা বন্ধ করছে না কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, এখন থেকে ফটো ভোটার স্লিপ ভোটারদের সচেতনতা গড়ার কাজে ব্যবহার হবে। ফটো ভোটার স্লিপ যে ভোটদানের পরিচয়পত্র হিসাবে গ্রহণযোগ্য হবে না সেকথা ওই স্লিপেও ছাপাতে হবে বলে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। ভোটদানের গ্রহণযোগ্য পরিচয়পত্রের তালিকা থেকে ফটো ভোটার স্লিপ বাদ গেলেও বাকি পরিচয়পত্রে কোনও বদল আনেনি কমিশন। অর্থাৎ প্রতিবারের মতো এবারও সচিত্র ভোটার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, প্যান কার্ড, আধার কার্ড-সহ মোট ১১টি পরিচয়পত্র ভোটদানের জন্য গ্রহণযোগ্য হবে। 

এদিকে ভোটদানের যোগ্য, এক জনের নামও তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে কি না তা নিশ্চিত হতে রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে নির্বাচন আধিকারিকদের মুখোমুখি বসতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। দু'পক্ষই যাচাই করবে সংশ্লিষ্ট এলাকায় যোগ্য ভোটারের নাম তালিকায় উঠেছে কি না। না উঠে থাকলে তক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। রাজ্যে রাজে্য ইতিমধে্যই চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির সুযোগ করে দিয়েছে কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, মনোনয়ন জমা করার শেষ তারিখ অবধি ভোটার তালিকায় নাম তোলা যাবে। একইভাবে চলবে নাম সংযুক্তি, শুদ্ধিকরণ ও নাম বাদ দেওয়ার কাজ। সে কাজে যাতে কোনও ফাঁক না থেকে যায় তা নিশ্চিত করতে এবার রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি অর্থাৎ বুথ লেভেল এজেন্টদের (বিএলএ) সঙ্গে কমিশনের প্রতিনিধি বা বুথ লেভেল অফিসারদের (বিএলএ) মুখোমুখি বৈঠকে বসতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন ।