পুলওয়ামায় গাড়ি ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী জঙ্গির মৃত্যু এনকাউন্টারে


পুলওয়ামা হামলার পর ঘটনাস্থল।

পুলওয়ামায় সিআরপিএফ জওয়ানদের উপর হামলায় অভিযুক্ত আরও এক মাস্টারমাইন্ডের মৃত্যু হল নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর গুলিতে। রবিবার রাতে দক্ষিণ কাশ্মীরের ত্রালে নিরাপত্তারক্ষী-জঙ্গিদের মধ্যে গুলির লড়াই চলাকালীনই তার মৃত্যু হয়।

জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত জঙ্গি পুলওয়ামা হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড মুদাসির আহমেদ খান। আত্মঘাতী হামলার জন্য যে বিস্ফোরক এবং গাড়ি ব্যবহার করা হয়েছিল, তা সরবরাহ করেছিল এই মুদাসিরই। তার পর সেই গাড়ি নিয়ে সিআরপিএফ কনভয়ে আত্মঘাতী হামলা চালায় জইশ জঙ্গি আদিল আহমেদ।

রবিবার দক্ষিণ কাশ্মীরের ত্রালের পিঙ্গলিশে জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে তল্লাশি অভিযান চালায় নিরাপত্তাবাহিনী। আচমকা জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করায় নিরাপত্তাবাহিনীও গুলি চালাতে শুরু করে। রবিবার মাঝরাতের নিরাপত্তাবাহিনী-জঙ্গিদের মধ্যে সেই গুলির লড়াইয়ে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়। তার মধ্যে এক জন এই মুদাসির আহমেদ খান। গুলিতে দু'জনের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়ায় তাদের পরিচয় জানতে সময় লাগে নিরাপত্তাবাহিনীর। পরে নিহত জঙ্গি মুদাসির আহমেদ খানকে চিহ্নিত করা হয়। অন্য যে জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে তার নাম খালিদ। খালিদও জইশ জঙ্গি।

বছর তেইশের মুদাসির পুলওয়ামারই ত্রাল এলাকার বাসিন্দা। স্নাতক উত্তীর্ণ হওয়ার পর আইটিআই থেকে ইলেক্ট্রিসিয়ানের ডিপ্লোমা কোর্স করে। গোয়েন্দাদের দাবি, ২০১৭ সালে জইশ-ই-মহম্মদে যোগ দেয় সে। পরে জইশ নেতা নুর মহম্মদ তান্ত্রের প্রভাবে সে আরও সক্রিয় ভাবে জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত হয়। ২০১৭-র ডিসেম্বরে নুর মহম্মদ নিহত হওয়ার পর গা ঢাকা দেয় মুদাসির। গোয়েন্দাদের দাবি, মুদাসিরের সঙ্গেই যোগাযোগ ছিল পুলওয়ামার আত্মঘাতী জঙ্গি আদিল। ২০১৮ সালে পুলওয়ামায় সিআরপিএফ হামলাতেও অভিযুক্ত মুদাসিরের।