কংগ্রেসকে চাপে রেখে দুই কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা বামেদের


সিপিএমের জেতা রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ আসন দাবি করে সমঝোতার বল থমকে রেখেছে কংগ্রেস। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে কংগ্রেসের টালবাহানার মধ্যেই ওই দুই আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিল বামফ্রন্ট। রায়গঞ্জে মহম্মদ সেলিম ও মুর্শিদাবাদে বদরুদোজ্জা খানকেই প্রার্থী করা হচ্ছে বলে শুক্রবার জানিয়ে দিল সিপিএম।  

এ দিন বামফ্রন্টের বৈঠকে নীতিগত কয়েকটি  সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, রাজ্যে তৃণমূল ও বিজেপি-র বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট একত্রিত করার লক্ষ্যে নির্বাচনী কৌশল নেবে বামফ্রন্ট।  রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস প্রার্থী দিলে কংগ্রেসের হাতে থাকা চার আসনেও প্রার্থী দিয়ে দেবে বামেরা। আর এ ভাবেই কংগ্রেস শিবিরে চাপ তৈরি করতে চাইছে তারা। পরবর্তী বামফ্রন্ট বৈঠকের পর বাকি আসনগুলি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এ দিন সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে ওই দুই কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন।  কংগ্রেস যে চারটে আসন ২০১৪ সালে জিতেছিল, সেগুলোয় বামেরা প্রার্থী দেবে না বলে বিমানবাবু জানান। রায়গঞ্জ এবং মুর্শিদাবাদে আগেভাগে প্রার্থী ঘোষণা করে কংগ্রেসকে চাপে রাখার পথেও হাঁটলেন বিমানরা। ওই দুই আসনে সিপিএম প্রার্থী ঘোষণা করার পরেও কংগ্রেস যদি ওখানে প্রার্থী দেয়, তা হলে জোট ভাঙার দায় কংগ্রেসের উপরে চাপাতে পারবে বামেরা, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

রায়গঞ্জ এবং মুর্শিদাবাদে বামেরা এক তরফা প্রার্থী ঘোষণা করায় অসন্তুষ্ট কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেছেন, "এই ভাবে এক তরফা প্রার্থী ঘোষণা করে ওঁরা বুঝিয়ে দিচ্ছেন যে, ওঁরা জোট চান না।" রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ কেন্দ্র সিপিএমকে ছাড়ার কোনও প্রশ্নই নেই বলে সোমেন স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাঁর সতর্কবার্তা, "কংগ্রেসকে ছাড়া বাংলায় সিপিএম একটা আসনও জিততে পারবে না। কিন্তু কংগ্রেস নিজের চারটি আসন একাই ধরে রাখতে পারবে।"