‘এবার জঙ্গিদের ঘরে ঢুকে মারব’, আরও বড় হামলার ইঙ্গিত প্রধানমন্ত্রীর!


"যোগ্য জবাব দেব। এবার ঘরে ঢুকে জঙ্গিদের মারব (অব ঘর মে ঘুস ঘুস কে মারেঙ্গে)। যদি পাতালেও লুকিয়ে থাকে, সেখান থেকে বের করে এনে খতম করব।" আহমেদাবাদের জনসভা থেকে এভাবেই কড়া ভাষায় সন্ত্রাস দমনের বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এমনকী, বালাকোটের বিমান হামলাই শেষ নয়। পড়শি মুলুক থেকে সন্ত্রাসবাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে আগামী দিনে আরও কড়া অভিযান চালানোর ইঙ্গিতও দিলেন তিনি। মোদি বলেন, "এটা নতুন ভারত। একটা কাজ শেষ হয়ে গেলে আমাদের সরকার ঘুমিয়ে পড়ে না। পরের কাজের জন্য তৈরি হয়। বড় সিদ্ধান্ত নিতে আমরা কখনও পিছিয়ে থাকি না। যোগ্য জবাব দেওয়া আমার স্বভাব। তার জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে আমি পছন্দ করি না। সন্ত্রাসবাদের সামনে কোনওদিন মাথা নিচুও করি না। প্রয়োজনে শত্রুর ঘরে ঢুকে বদলা নেব। জঙ্গিরা মাটির নিচে লুকিয়ে থাকলেও রক্ষা পাবে না।"

এদিকে, রাফাল নিয়ে ফের একবার বিরোধীদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিরোধীদের তিনি 'সাধারণ জ্ঞান' ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে বলেন, বালাকোটে বিমান হামলার সময় রাফাল হাতে থাকলে আমরা আরও কড়া ভাষায় জবাব দিতে পারতাম। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালী আক্রমণ চালাতে পারতাম। রাফাল থাকলে পাকিস্তানকে যথাযথ জবাব দিতে পারত বায়ুসেনা। যে রাফালকে সামনে রেখে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী মোদিকে নিয়মিত বিঁধছেন, ভোটের ময়দানে সেই রাফালই যে এখন তাঁর বড় অস্ত্র সোমবার সেটা স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

এর পাশাপাশি মোদির কথায়, "আমাদের বিরোধী নেতারা ভারতে বসে যা বলছেন, সেটা পাকিস্তানের সংবাদপত্রে শিরোনামে স্থান পাচ্ছে।'' রাহুলের অভিযোগ, রাফাল কিনতে গিয়ে মোদি তাঁর শিল্পপতি বন্ধু অনিল আম্বানির পকেটে ৩০ হাজার কোটি টাকা ভরে দিয়েছেন। এদিন গুজরাতের জামনগরে রাহুলের তোলা অভিযোগের জবাব দেন মোদি। তিনি বলেন, "দয়া করে আপনাদের সাধারণ জ্ঞান ব্যবহার করুন। আমি বলেছি, বিমান হামলার সময় হাতে রাফাল থাকলে আমাদের অনেক সুবিধা হত। সেক্ষেত্রে আমাদের কোনও য়ুদ্ধ বিমানকেই গুলি করে নামানো সম্ভব হত না। ঠিক সময়ে রাফাল পেলে এই বিমান হামলার চেহারা অন্যরকম হত।" বালাকোটে বিমান হামলার প্রসঙ্গে মোদি আগেই বলেছিলেন, "দেশ রাফালের অনুপস্থিতি অনুভব করছে। প্রতিটি দেশবাসী বুঝতে পেরেছেন যে, আমাদের হাতে রাফাল থাকলে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আরও বড় কিছু করা যেত। কিন্তু রাজনৈতিক দল ও নেতা এই সামান্য জিনিসটুকু বুঝতে পারেছেন না।" মোদির ওই মন্তব্যের পর কংগ্রেস সভাপতি কটাক্ষ করে টুইট করেন, 'প্রধানমন্ত্রীর লজ্জা হওয়া উচিত। ৩০ হাজার কোটি টাকা চুরি করে বন্ধু অনিল আম্বানিকে দিয়েছেন। রাফাল ভারতে সময় মতো না আসার দায়ভার আপনাকেই নিতে হবে।'