বাংলায় বেকারত্ব ৪০ শতাংশ কমে গিয়েছে, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর


গত আট বছরে বাংলায় ৪০ শতাংশ বেকারত্ব কমে গিয়েছে বলে বুধবার হাওড়ার এক সরকারি কর্মসূচিতে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারি নানা প্রকল্প ও পরিষেবার পাশাপাশি ঋণ এবং ভরতুকি দিয়ে বেকারদের স্বনির্ভর করার মধ্য দিয়ে এই কর্মসংস্থান হয়েছে বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর।

তাঁর কথায়, "সরকারে আসার পর থেকে আমাদের প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য ছিল বেকারদের কর্মসংস্থান করা। কেন্দ্রীয় সরকারের সীমাহীন বঞ্চনা উপেক্ষা করে রাজ্য সরকার সীমিত সামর্থ নিয়েও লক্ষ লক্ষ বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। রাজ্য সরকারের নানা প্রকল্প ও পরিষেবার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ বেকারকে স্বনির্ভর করা হয়েছে। যা গোটা দেশে রেকর্ড। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে দেশে এক নম্বর এখন বাংলা।" মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, গতিধারা থেকে শুরু করে স্বনির্ভর, সমর্থনের মতো কর্মসংস্থান প্রকল্পের মাধ্যমে বহু তরুণ-তরুণীর রুটি রুজির ব্যবস্থা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, পঞ্চায়েত ও নারী এবং শিশু কল্যাণ দপ্তরের মাধ্যমে কয়েক লক্ষ মহিলাকে স্বনির্ভর করা হয়েছে। আইসিডিএস প্রকল্পের মাধ্যমে বহু মহিলাকে গ্রামীণ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিযুক্তির সঙ্গে স্বনির্ভর করা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন রাজ্যের প্রথম হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাস করার সঙ্গে আরও একগুচ্ছ নতুন প্রকল্পের কাজ শুরুর শুভ সূচনা করেন। এর মধ্যে অবশ্যই উল্লেখযোগ্য নন্দীগ্রাম ১ ও ২ ব্লকে পাইপলাইনের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "এক সময়ে এই নন্দীগ্রামের মানুষের জলের ব্যবস্থা না করে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। আজ সেখানে ১৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হল।" রাজ্যের স্বাস্থ্যভবন সল্টলেকে থাকায় সরকারি কাজকর্মে অসুবিধা হচ্ছে। তা বন্ধে এবার নবান্নের পিছনেই তিন একর জমিতে নতুন স্বাস্থ্য ভবন তৈরির ঘোষণাও করেন মুখ্যমন্ত্রী।