তিনদিন গলায় আটকে মাংসের হাড়, মহিলাকে বাঁচাল সিউড়ির হাসপাতাল


সিউড়ি: চিকিৎসায় বড়বড় সাফল্য পেল সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। গলায় মাংসের হাড় আটকে ছিল ঝাড়খণ্ডের এক মহিলার। হাড় বের করতে ৩ দিন সেখানকার বিভিন্ন হাসপাতাল ঘোরেন তিনি। তবে তাতে কোনও ফল হয়নি। অবশেষে  সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি ওই মহিলা। সেখানকার চিকিৎসকরা ভ্যাকুম পদ্ধতিতে তাঁর গলায় আটকে থাকা প্রায় সাড়ে তিন সেন্টিমিটারের হাড়টি বের করেন।

সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডের দুমকার বাসিন্দা লালমুন বিবি। জানা গিযেছে, দিন তিনেক আগে খাবার খাওয়ার সময় গলায় মাংসের হাড় আটকে যায় ওই মহিলার। এরপর সেই অবস্থায় প্রথমে এলাকারই একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে চিকিৎসকরা কোনও চিকিৎসা ছাড়াই তাকে ফিরিয়ে দেন। এরপর ৩ দিন একই অবস্থায় ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে ঘোরেন পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ, তবে কোনও হাসপাতালের তরফেই কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে পারেনি। সমস্ত হাসপাতাল ঘুরে হতাশ হয়ে পড়ে রোগীর পরিবারও। এরপর বীরভূমের সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় লালমুনি বিবিকে। তবে ৩ দিন ওই অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে প্রবল অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই মহিলা। 

জানা গিয়েছে, তাঁকে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক শুভেন্দু ভট্টাচার্য ওই রোগীর চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। এরপর ভ্যাকুম পদ্ধতির মাধ্যমে গলা থেকে বের করে আনা হয় হাড়। জানা গিয়েছে, মহিলার গলায় আটকে থাকা হাড়টি প্রায় সাড়ে তিন সেন্টিমিটারের ছিল। হাসপাতাল সূত্রের খবর, আপাতত সুস্থ রয়েছেন তিনি। কয়েকদিনের মধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হবে তাঁকে। চিকিৎসকদের তরফে জানানো হয়েছে, পদ্ধতিটি যথেষ্ট কঠিন ছিল। তা সত্ত্বেও রোগীর অবস্থার কথা মাথায় রেখে ঝুঁকি নিতে বাধ্য হয়েছিলেন তারা। টানা তিনদিন একের পর এক হাসপাতাল ঘুরে ভেঙে পড়েছিলেন রোগীর পরিবার। অবশেষে সিউড়ি হাসপাতালে পরিষেবা পেয়ে খুশি রোগীর পরিবারও।