অবশেষে বকেয়া বেতনের মুখ দেখছে বিএসএনএল কর্মীরা


অবশেষে ফেব্রুয়ারির বকেয়া বেতন পাচ্ছেন বিএসএনএল কর্মীরা। বৃহস্পতিবার এক প্রেস কনফারেন্সে একথা জানিয়েছেন এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার সিএমডি অনুপম শ্রীবাস্তব।
 "আগামিকালই বিএসএলএলের তরফে কর্মীদের বকেয়া বেতন মিটিয়ে দেওয়া হবে। টেলিকম মন্ত্রী মনোজ সিনহাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দ্রুত এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে সমস্যার সমাধান নিশ্চিত করার করার জন্য। সঙ্গে কার্যকারী মূলধন জোগাড়ের জন্য সংস্থাকে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার প্রস্তাব ধার্য করার জন্য।" যদিও বিএসএনএল সিএমডির এই ঘোষণায় কর্মীদের একাংশ তেমন খুশি নন। লোকসভা ভোটের মুখে কেন্দ্রের এমন দিলদরিয়া হাবভাব থাকলেও, নির্বাচনী যুদ্ধের পর তা কতটা বজায় থাকবে, সেই প্রশ্নও তুলেছেন বিএসএনএল-এর একাধিক কর্মী। তবে এপ্রসঙ্গে সিএমডি অনুপম শ্রীবাস্তব অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন, কেন্দ্রের টেলিকম মন্ত্রকের সহায়তায় আগামী দিনেও বেতন দিতে কোনও সমস্যা হবে না এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্মীদের।

এমতাবস্থায় কর্মী সংগঠনের একাংশের দাবি, গত সপ্তাহের বৈঠকেই বিএসএনএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন যে তাদের আয় তেমন হচ্ছে না। তাই বেতন প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত থাকবে। সেই জায়গা থেকে কিছুটা সরে এসে বুধবার আশ্বাস দেওয়া হয় সংস্থার কর্মীদের বকেয়া বেতন ২০ মার্চের মধ্যেই মিটিয়ে দেওয়া হবে। আবার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই শুক্রবার ফেব্রুয়ারির বেতন মেটানোর কথা জানান তিনি। রাতারাতি কী করে এটা সম্ভব, সেই প্রশ্নই তুলেছে অনেকে।

কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা বুধবারই একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেতন আটকে থাকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে এক টুইট করেন। ওই টুইটে তিনি বিএসএনএল, ওএনজিসি'র মতো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার নামও উল্লেখ করেন। আর প্রিয়াঙ্কার এহেন টুইটের পর থেকেই নাকি তোলপাড় শুরু হয় সরকারি মহলে, এমনটাই খবর পাওয়া গিয়েছে সূত্রের তরফে। ২০১৯-এর লোকসভা নিবার্চনের আগে এভাবেই এই বিষয়টি বিরোধী পক্ষের হাতে যুদ্ধবাণ তুলে দিচ্ছে বলে মনে করছে কেন্দ্রে বহাল থাকা সরকার। এছাড়া, বিএসএনএল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে চিঠি গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের তরফেও।

এই পরিস্থিতিতে বিএসএনএল-এর তরফে হঠাৎ বকেয়া টাকা মেটানোর ঘোষণা করা হলে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কর্মী সংগঠনের একাংশের প্রশ্ন, তা টাকার সংস্থান যদি প্রস্তুতই ছিল, তাহলে বেতন দিতে এত দেরি কেন হল?